ভর সন্ধেয় জনবহুল রাস্তায় স্কুলছাত্রীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে স্কুটার আরোহী দুই দুষ্কৃতী

নিজস্ব সংবাদদাতা : ছাত্রীর হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের। বাধা দিতে গেলে প্রায় ৫০ মিটার ছাত্রীকে টেনে নিয়ে যায় বাইকে থাকা দুই দুষ্কৃতী। এমনই অভিযোগ উঠেছে খড়গপুরে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ভর সন্ধেয় জনবহুল রাস্তায় স্কুলছাত্রীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে স্কুটার আরোহী দুই দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, বাধা দেওয়ায় ছাত্রীকে প্রায় ৫০ মিটার হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। ছিনতাইয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসায় ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে পালায় দুই দুষ্কৃতী। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল খড়গপুরের ইন্দায়। এই ঘটনায় খড়গপুর টাউন থানায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা।ভিড় রাস্তায় ছিনতাই:

    মঙ্গলবার সন্ধে সোয়া ৭টা। ইন্দা কলেজের সামনে বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ,বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী এসে ছাত্রীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তখনই ওই ছাত্রী বাধা দেন। তারপর? প্রত্যক্ষদর্শী দীপক বিষয়ী বলেন, ‘সন্ধের সময় ঘটনাটা ঘটে। মোবাইল ছিনিয়ে নিতে বাধা দেওয়ায় স্কুটারে উঠিয়ে বেশ কিছুটা দূর টেনে নিয়ে যায় মেয়েটাকে। ও চিৎকার করছিল চোর চোর বলে। তখন ওরা মেয়েটাকে ছুড়ে ফেলে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।’ চোখের সামনে এমন ঘটতে দেখে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ইন্দার বাসিন্দা স্বাতী দাস বলেন, ‘সিকিউরিটি আছে আমাদের? মোবাইল তো নিলই, মেয়েটাকেও তুলে নিচ্ছে। ভয়ে গা হাত পা কাঁপছে। আমার সঙ্গেও মেয়ে ছিল।’ স্থানীয়দের অভিযোগ, খড়গপুরে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। আর এই অভিযোগ নিয়েই শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল তরজা। 1

     

    শুরু তরজা:

    বিজেপির খড়গপুর উত্তর মন্ডলের সভাপতি দীপসোনা ঘোষ বলেন, ‘ইন্দার দিকে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে। পুলিশ এখন তৃণমূলের দলদাস। সবাই জানে কারা করছে। একটাও অ্যারেস্ট হচ্ছে না। দুষ্কৃতীরা গায়েব হয়ে যাচ্ছে।’

     

    তৃণমূলের খড়গপুর শহর সভাপতি দিব্যেন্দু পালের পাল্টা দাবি, ‘চুরি-ছিনতাই বা মোবাইল ছিনতাই বেড়েছে অস্বীকার করার জায়গা নেই। পুলিশকে আরও অ্যাক্টিভ হতে হবে। বিজেপি সব কিছুতেই তৃণমূলকে দোষারোপ করে। তলায় তলায় দুষ্কৃতীরা বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়েছে।’