ভাঙ্গনের আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের,এবার সরাসরি রাস্তায় নেমে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল গ্রামবাসীরা

আব্দুস সামাদ জঙ্গিপুর: নদী পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম ভাঙন। দেশে প্রতিবছরই বিস্তীর্ণ এলাকা নদীভাঙনের শিকার হয়। এতে বসতভিটা জায়গা-জমি সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। তেমনি রঘুনাথগঞ্জ 2 নম্বর ব্লকের মিঠিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ রয়েছে বলতলা ঘাট বলতোলা ঘাটের সামনে রাইচক, ও ষষ্ঠী তলার পাস দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিশাল নদী। সেই নদীর পাশে কয়েকশো বাড়ির বাসস্থান সকলেই খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ, এই সমস্ত মানুষের মনের মধ্যে আতঙ্কের বাসা বেধেছে দিবা রাত্রি। কারণ সেই নদীতে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে এবং প্রতি বছরই ব্যাপক ভাবে তলিয়ে যাচ্ছে জমি জায়গা, নদীর ভাঙ্গন হতে হতে এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে। এই আতঙ্ক নিয়ে তাদের ক্ষোভ স্থানীয় নেতা মন্ত্রীদের উপর।

    আতঙ্কিত মানুষ জন বলেন নির্বাচনের সময় নেতা-মন্ত্রীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পর তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মিলেনা কোন কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীর গতি রোখার চেষ্টার কারণে নদীভাঙন ঘটে। নদীতে বাঁধ দেওয়া, অপরিকল্পিতভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা নদী ভাঙনের এক অন্যতম কারণ। নদীর পাড়ের ঘাস, কাশবনসহ অন্যান্য বন উজাড় করে ফেললে মাটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পানির তোড়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন বা ড্রেজিংয়ের কারণে ক্ষতির শিকার হয় নদী। আরেকটি বিষয় হচ্ছে দুর্নীতি। নদীভাঙন রোধে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, যে প্রক্রিয়ায় এবং যে ধরনের দ্রব্য ব্যবহার করে নদীর পাড় মজবুত করতে বলা হয়, দুর্নীতি করতে গিয়ে তা করা সম্ভব হয় না। ফলে সরকারি উদ্যোগ থাকলেও বাস্তবে তা তেমন সহায়ক হয় না। এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে জানান, ভাঙন মৌসুমে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা নদী বাঁধের আশ্বাস দিলেও তার কোন বাস্তবায়ন হয় না। যে কারণে প্রতি বছর পদ্মা নদীর ভাঙনে বসতি ও আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে যায়। শুকনো মৌসুম নদী বাঁধের উপযুক্ত সময় হলেও তখন নদী বাঁধের কোন উদ্যোগ নেয়া হয় না তবে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙনের উপক্রম হলেই সেচ দপ্তরের নেতা মন্ত্রীরা তোর-জোর করে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে তাতে ভাঙন রোধে কোন উপকারে আসে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।