অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সমস্ত রকমের যান চলাচল বন্ধ মেদিনীপুরের বীরেন্দ্র সেতুতে, যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা : মেদিনীপুর শহর ও খড়গপুর শহরের মধ্যবর্তী কংসাবতী নদীর ওপর অবস্থিত বীরেন্দ্র শাসমল সেতুর সংস্কারের কাজ সম্পন্ন। এবার লোড টেস্টিং (ভার বহন ক্ষমতা) জন্য সমস্ত রকম যানবাহন চলাচল, বাইক ও পথচারীদের যাতায়াত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, মেদিনীপুর টাউন ও খড়্গপুর টাউন এর মধ্যে অবস্থিত বীরেন্দ্র শাসমল সেতু আগামী ১৭ই আগস্ট ২০২৩ রাত্রি ১১ টা থেকে ২১ই আগস্ট, ২০২৩রাত্রি ১১ টা পর্যন্ত লোড টেস্ট এর জন্য যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। পায়ে হেটেও যাওয়া যাবে না। মোটর বাইক ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচলও সম্পূর্ন্নভাবে নিষিদ্ধ।

    জেলা শাসক খুরসেদ আলী কাদরী ও জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকা নিয়ে সমস্ত রকমের ধন্দ কাটালেন । বুধবার দুপুরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, “আমরা জরুরি পরিষেবার মধ্যে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্সকে ছাড় দেওয়ার কথা ভেবেছি। তবে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে মোটরসাইকেল বা বাইককে ছাড় দেওয়া যায় কিনা ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।” তাঁর আরো সংযোজন, “প্রথম দু’দিন (শুক্রবার ও শনিবার) পথচারীদের ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তারপর, পরিস্থিতি দেখে পথচারীদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

    আরো জানান, “একটা বড় কাজের জন্য জেলাবাসীর সাহায্য প্রয়োজন। বীরেন্দ্র সেতু সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এবার লোড টেস্টের জন্য ৯৬ ঘন্টা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত ওই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যাতে ঘুর পথে বা ট্রেনে যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারেন, সেজন্যই সকলকে অবগত করা হচ্ছে। এজন্য, আমরা সকলের সাহায্য প্রার্থনা করছি।”

     

    জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে , অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্যান্য জরুরি পরিষেবার গাড়ি এবং সাধারণ যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ির মেদিনীপুর থেকে কলকাতা বা অন্য কোথায় যাওয়ার জন্য মেদিনীপুর শহর থেকে ধর্মা , কেশপুর, লঙ্কাগড়, রাজনগর, বকুলতলা, খুকুড়দহ, মেছোগ্রাম দিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে যাবার কথা বলা হয়েছে আবার একই ভাবে কলকাতা থেকে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও একই পথ ধরার কথা বলা হয়েছে। তবে, খড়্গপুর থেকে যথারীতি চৌরঙ্গী হয়ে কলকাতা যাওয়া যাবে। এছাড়াও, শালবনী, চন্দ্রকোনা রোড থেকে সড়ক পথে কলকাতা যেতে গেলে, ঘাটাল-দাসপুর হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।