কন্যাশ্রীতে কলেজ স্তরে সেরার শিরোপা পেল মেদিনীপুর সিটি কলেজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর…জেলা প্রশাসনের বিচারে কন্যাশ্রী প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কলেজ গুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করলো মেদিনীপুর সিটি কলেজ। প্রতিবছর জেলা প্রশাসনের বিচারে কলেজগুলিতে পাঠরত ছাত্রীদের নিরিখে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।কন্যাশ্রীর দশম বছর উপলক্ষ্যে কন্যাশ্রী দিবসে জেলার কলেজ গুলোর মধ্যে নজর কাড়া সাফল্য পেল শালবনি ব্লকে অবস্থিত মেদিনীপুর সিটি কলেজ। মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত এই কলেজে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাত হাজারের কাছাকাছি। তার মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় প্রায় চার হাজারের অধিক ছাত্রী পড়াশোনা করে এই কলেজে। ২০২১ – ২০২২ শিক্ষাবর্ষেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে উচ্চশিক্ষার কন্যাশ্রী প্রকল্পে তৃতীয় স্থান দখল করেছিল এই মহাবিদ্যালয়। এবার কন্যাশ্রীর নিরিখে প্রথম হয়েছে। মহাবিদ্যালয়ের এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি অধ্যক্ষ সুদীপ্ত চক্রবর্তী, সকল অধ্যাপক- অধ্যাপিকা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা। সোমবার ১৪ই আগস্ট কন্যাশ্রী দিবসে শহীদ প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পুরস্কার কলেজের অধ্যক্ষ সুদীপ্ত চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার ডিএম খুরশিদ আলি কাদেরী, বিভিন্ন বিভাগের এডিএম গণ, সিএমওএইচ ডাঃ সৌম্য শংকর সারেঙ্গী,মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, জেলার বিধায়ক গণ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্ণধার প্রদীপ ঘোষের একক চেষ্টায় গড়ে ওঠা মেদিনীপুর সিটি কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে বর্তমানে কুড়িটি বিভাগে স্নাতক পড়ানো হয়, স্নাতকোত্তর স্তরে উনিশটি বিষয়ে পাঠদান হয়ে থাকে। এই কলেজ থেকে বর্তমানে ৩৭ জন গবেষক বিভিন্ন বৃত্তি নিয়ে গবেষণার নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। মহাবিদ্যালয়ের কর্ণধার প্রদীপ ঘোষ বলেন, “আমরা আমাদের মেয়েদের নিরন্তর শিক্ষা দিয়ে থাকি যাতে তারা মূল শিক্ষার আঙিনা থেকে পড়তে পড়তে ড্রপ আউট না হয়। বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কিত শীর্ষক আলোচনা বিষয়ক কর্মসূচি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিভাগ প্রায় সময়ই আয়োজন করে থাকে। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি আগামী দিনে আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে, আমরা বিদ্যাসাগরের জেলার বহু সংখ্যক ছাত্রীকে সেই পরামর্শে উদ্বুদ্ধ করবো। তারা যাতে উচ্চ শিক্ষার আঙিনায় আসে।”উল্লেখ্য কন্যাশ্রীর প্রকল্পে কলেজ স্তরছ জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে নাড়াজোল রাজ কলেজ এবং বেলদা কলেজ।