মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরাতে তাঁর সঙ্গে আর কারা আসতে পারে তা নিয়ে জল্পনা শুরু

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে আর কারা আসতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। স্বাভাবিকভাবেই ভাবা হয়েছিল মুকুল-অনুগামীদের নাম। যদিও সেইসব নাম নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই আপত্তি রয়েছে, তবু মুকুল রায় তৈরি করে ফেলেছেন অন্তত ৩৫ জনের নামের তালিকা।

    বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার তালিকা মুকুলের

    শুধু নামের তালিকা তৈরি করেই ক্ষান্ত নেই সদ্য তৃণমূলে ফেরা ‘বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য’ মুকুল রায়। সেই নাম নিয়ে তিনি আলেচনায় বসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে সেইসব নাম নিয়ে। এখন দেখার কারা বিজেপি ছেড়ে আসেন তৃণমূলে।

    ৩০-৩৫ জনের নামের তালিকা নিয়ে চর্চা শুরু

    মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি তৃণমূলে এসেই ফোন করেছেন বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের। বেছে বেছে অনেককেই ফোন করেছেন তিনি। তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই আবার ৩০-৩৫ জনের নামের তালিকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গেল। কে কে আসতে পারেন মুকুলের সঙ্গে, তা নিয়েই আলোচনা দু-দলের অন্দরে।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে মুকুল রায়

    মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরদিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যান। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা উভয়ের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে আলোচনা হয় তৃণমূলে মুকুল রায়ের কী দায়িত্ব থাকবে, তা নিয়ে। আলোচনা হয় মুকুল রায়ের তৈরি তালিকা নিয়ে।

    তালিকায় রয়েছে হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের নাম

    এই তালিকায় রয়েছে বিজেপি নেতাদের নাম। যে সমস্ত বিজেপি নেতা তৃণমূলে ফিরতে পারেন বা যোগ দিতে পারেন বিজেপি ছেড়ে, তাঁদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়। সেই তালিকা থেকে কাদের নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়েও তৃণমূলের দুই স্তম্ভ মুকুল রায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    সর্বভারতীয় স্তরে কীভাবে তৃণমূলের বিস্তার সম্ভব

    আগামী দিনে সর্বভারতীয় স্তরে কীভাবে তৃণমূলের বিস্তার সম্ভব, তা নিয়েও উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। যোগদানের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারত-নেত্রী বলে সম্বোধন করেন মুকুল রায়। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতের মুখ করে তুলতে তিনিও যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়ক হবেন, তা বলাই বাহুল্য।

    বিজেপিমুখী হয়ছিলেন যাঁরা, ফের তৃণমূলে ফিরে আসবেন

    এছাড়া সামনেই পুরসভা নির্বাচন। উপনির্বাচনও রয়েছে। তার আগে রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে পড়েছে, সেইসব জায়গা চাঙ্গা করতেও মুকুল রায়কে কাজে লাগানো হবে। মুকুল রায় দল ছাড়ার পর বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় একটা অংশ বিজেপিমুখী হয়ছিলেন, তাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরে আসবেন বলেই ধারণা।

    মুকুলের অনুগামী কারা আসবেন তৃণমূলে, জল্পনা

    মুকুল রায়কে আগামী দিনে কী ভূমিকায় দেখা যাবে তৃণমূলে, সেটা যেমন সবার জানার আগ্রহ রয়েছে, সেইসঙ্গে মুকুলের অনুগামী কারা আসবেন তৃণমূলে, তা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে। মুকুল আসার পর থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তের নাম শোনা যাচ্ছিল। তাঁরা ইতিমধ্যেই বিজেপিতে বেসুরো হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও আবার বিতর্ক রয়েছে।

    মুকুল রায়ের অনুগামী হিসেবে বিজেপিতে যাঁরা ছিলেন

    এছাড়া মুকুল রায়ের অনুগামী হিসেবে বিজেপিতে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে অনুপম হাজরা বেসুরো বাজলেও, সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিংরা আবার মুকুলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। নিশীথ প্রামাণিককে অবশ্য মুকুল বিরোধী মন্তব্য করতেও শোনা যায়নি। এমন অনেক নেতা তলে তলে রয়েছেন।

    মুকুলদা যেখানে আমরাও সেখানে, বলছেন নেতারা

    এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, জলপাইগুড়ির অনেক নেতা বিজেপি ছেড়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মুকুলদা যেখানে আমরাও সেখানে। আবার বনগাঁর সাংসদ ও তিন বিধায়ক দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকে যাননি। তাঁদের নাম নিয়েও জোরদার চর্চা চলছে। সেই তালিকায় রয়েছে মুকুল ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিত দাসের নামও।

    কারা আসলে ফিরতে চাইছেন আর কাদের নেবে তৃণমূল

    আর মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শীলভদ্র দত্ত অবশ্য বিজেপিতেই থাকছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি জানান, মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরেছন বলে, তাঁকেও ফিরতে হবে, এমন কোনও মান নেই। তাঁর এ ব্যাপারে কোনও আগ্রহ নেই বলেও জানিয়েছেন। এখন কারা আসলে ফিরতে চাইছেন আর কাদের নেবে তৃণমূল, তা নিয়ে উভয় দলেই চাপে নেতারা।