৬৭৭ নং পেলো গরীব ভ্যানচালকের ছেলে সোমেশ্বর দাস

নূর আহামেদ, মেমারি : ১৭ জুলাই, মাধ্যমিকে পশ্চিমবাংলার মধ্যে যে মেধা তালিকা প্রকাশ পেয়েছে তার মধ্যে ১৬ তম স্থান অধিকার করেছে মেমারি বাগিলা অঞ্চলের শশীনারা গ্রামের, শশীনারা হাই স্কুলের ছাত্র সোমেশ্বর দাস।বাবা পিন্টু দাস পেশায় ভ্যানচালক ও মা প্রতিমা দেবী গৃহিণী | ছেলের সাফল্যে খুশি দাস পরিবার। ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী সোমেশ্বরকে পড়ালেখায় সব সময় অনুপ্রেরণা যোগাতেন তার মা প্রতিমা দেবী | এজন্য শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সোমেশ্বরের পড়ালেখায় ছেদ পড়েনি। ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি ও ভাল হওয়ায় স্কুল শিক্ষকরা তাকে সহযোগিতা করেছেন। এরপর তার ইচ্ছা অ্যাষ্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করা। সোমেশ্বর দাসের এই রেজাল্ট এর পিছনে অবদান মা, বাবা ছাড়াও ও শশীনারা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ চাটার্জি, শিক্ষক কুনাল দাস, প্রীতেষ গনত্রা, রাজীব মুখার্জি প্রমুখ।গতকাল বামপন্থী সংগঠনের পক্ষ থেকে দরিদ্র পরিবারের ছেলে সোমেশ্বর দাশ কে সংবর্ধনা জানাতে যান সিপিআইএম পার্টির পক্ষ থেকে জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুকান্ত কোনার, অমিতাভ চৌধুরী, হামিম সেখ, প্রফুল্ল কর্মকার, বাপি মন্ডল এবং এস এফ আই এর পক্ষ থেকে জেলা সেক্রেটারি অনির্বাণ চৌধুরী, সভাপতি বিশ্বজিৎ হাজরা। সোমেশ্বর দাসের বাবা পিন্টু দাস জানান যে, রাস্তায় আমার ভ্যানের চাকা গড়ালেই খাবার জুটবে। ছেলের এই স্বপ্ন পূরণের বাবা পিন্টু দাস খুবই চিন্তায় আছেন। এরপর এত খরচ কোথা থেকে জোগাড় করবেন। এই লকডাউনের বাজারে । একটা স্মার্ট ফোনও নেই । যে, অনলাইনে পড়াশোনাটা শুরু করতে পারবে যারা দেখা করতে আসছেন । তাদের অনুরোধ করেছেন একটা ফোনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি সাহায্য করতে ইচ্ছা হয় তাহলে ৮৯৭২৯১৯৮৩২ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।