জমেছে ধুলো, ভাঙছে চাল সুন্দরবনের ঐতিহাসিক মিউজিয়ামগুলির নেই কোনো রক্ষণাবেক্ষণ!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নষ্ট হয়ে যাওয়ার আগে দেখে আসুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের প্রাচীন সংগ্রহশালাগুলি। সুন্দরবনের প্রাচীন ইতিহাস সম্বলিত সংগ্রহশালা বা মিউজিয়ামগুলি রয়েছে মোট ৪ টি এলাকায়। খাড়ি ছত্রভোগ সংগ্রহশালা, কাশীনগর সুন্দরবন প্রত্নগবেষণা কেন্দ্র ও বিষ্ণুপুর ও গোবর্ধনপুরে রয়েছে এই কেন্দ্রগুলি। কিন্তু সেই মিউজিয়ামগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রত্নবস্তুগুলিতে জমেছে ধুলো। ভেঙে পড়ছে টালির চাল। ত্রিপল দিয়ে কোনও রকমে ঢেকে রাখা হয়েছে, টিমটিম করে জ্বলা সুন্দরবনের সুপ্রাচীন ইতিহাস সম্বলিত একাধিক মিউজিয়ামকে।

     

    এই সংগ্রহশালায় রয়েছে ফসিলস, পাল ও সেন যুগের মূর্তি, প্রাগতৈহাসিক জীবের হাড়‌। ১০ থেকে ১২ হাজার বছর আগের পাথর, শিলালিপি। নব্যপ্রস্তর যুগের হাতিয়ার, একাধিক দামী পাথর সহ আরও অন্যান্য বস্তু।

     

    প্রায় ১০০০ এর উপর প্রত্নবস্তু সম্বলিত মিউজিয়ামগুলি আকর্ষণ করে সকলকে।

    আরও পড়ুনঃ প্রকৃতি বাঁচাতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নয়া উদ্যোগ, চলবে র‍্যালির পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

     

    বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ইতিহাসের একটি জীবন্ত দলিল এই মিউজিয়াম। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই মিউজিয়াম এখন ধ্বংসের মুখে। মিউজিয়াম সুন্দরবন এলাকার ইতিহাসের একটি দলিল। সরকারি অর্থ সাহায্যে যদি মিউজিয়ামটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, তাহলে সুন্দরবন এলাকার মানুষজন তাদের নিজেদের এলাকায় একটি সুন্দর মিউজিয়াম দেখতে পাবে।

     

    তবে মিউজিয়ামের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কিছুটা হতাশ উদ্যোক্তরা। সরকারে কাছ থেকে কিছু অর্থ সাহায্য পেলে এগুলি পুনরায় চালু করা যায়। মিউজিয়ামের ভাঙাচোরা দশার হাল কবে ফিরবে সেই উত্তর নেই কারুর কাছে। তবে এই মিউজিয়াম ধ্বংস হওয়ার আগে বিনামূল্যে আপনিও দেখে আসতে পারেন।