|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি; পূর্ব মেদিনীপুরঃ
শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে নিজে হাতে স্ত্রী ও মেয়ের গায়ে অ্যাসিড ছুঁড়ে দিল জামাই স্বামীবিদ্যাসাগর মানা(দীনেশ)। এই ঘটনায় ওই গ্রামে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি থানা অন্তর্গত তল্লাব্রিজ গ্রামে।
ঘটনার সূত্রপাত, বিগত প্রায় সাত বছর আগে নিজের খেজুরি থানা এলাকার তল্লা গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন হেঁড়িয়ার বিদ্যাসাগর মান্না(দীনেশ)। পরপর দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন বিদ্যাসাগরের স্ত্রী মান্টি মান্না। বড় মেয়ে সুস্মিতা মান্না(৭) এবং ছোট মেয়ে সুমিত্রা মান্না(১.৫)।
পরপর দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ার ফলে মানসিক ভাবে তা মেনে নিতে পারছিলেন না বিদ্যাসাগর। এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক দিনে খারাপ হতে থাকে। এরফলে বিদ্যাসাগর স্ত্রী মান্টি মান্নার উপর যথারীতি মানসিক অত্যাচার করত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিদ্যাসাগরের বাবা ৺ক্ষুদিরাম মানা হেঁড়িয়া চৌরঙ্গী এলাকার বিশিষ্ট মিষ্টি ব্যবসায়ী ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বিদ্যাসাগর বাবুরও ওই বাজারে পানের দোকান করেছিলেন। পারিবারিক অশান্তির জেরে বিগত কয়েক মাস ধরে তাও নাকি বন্ধ।
এরপর মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মান্টি দেবী প্রায় এক মাস আগে থেকে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন। আজ সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিদ্যাসাগর মান্না শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয় এবং তার স্ত্রী মান্টি দেবী এবং বড় মেয়ে সুস্মিতা মান্নাকে সামনে পেয়ে তাদের গায়ে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয়। অ্যাসিড ছুঁড়ে দেওয়ার ফলে যন্ত্রণায় মা ও মেয়ে চিৎকার করতে থাকে। এই চিৎকারে শব্দে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। ততক্ষণে জামাই বিদ্যাসাগর ছুটে পালিয়ে যায়। পরে তাকে আর ধরা যায়নি।
মা-মেয়েকে সাথে সাথে হেঁড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতির কারণে তাদের তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।