|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল রাস্তায় নেমে আসায় বিরক্ত দলের শীর্ষনেতৃত্ব। দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা ও বি এল সন্তোষরা। পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটলেই বঙ্গ সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতারা।
সম্প্রতি শাখা সংগঠনের সভাপতি ও পরে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি অমিত শাহ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আর রাজ্যের যে কোনও সিদ্ধান্ত তাঁর কাছেই রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাই থেকে রণকৌশল কি হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে। তাই রাজ্য থেকে কোনও প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সাংসদদের অনেকেরই কপাল পুড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্যের নেতারা।
গত সপ্তাহে বাংলা বিজেপির শাখা সংগঠনের সভাপতিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষনেতারা। তাঁদের একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান এক শাখা সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। তিনিই জানান, বাংলা থেকে এবার গতবারের থেকেও বেশি আসনের প্রত্যাশা রয়েছে অমিত শাহদের। কিন্তু যেভাবে দলের কোন্দল রাস্তায় নেমে এসেছে তাতে অসন্তুষ্ট সংঙ্ঘের কর্তা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজ্য নেতাদের আচরণই বাধ্য করেছে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নভেম্বর থেকে সংগঠনের সমস্ত রিপোর্ট সরাসরি অমিত শাহকে পাঠাতে হবে। তিনিই সবকিছু দেখভাল করবেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। ৪২টি লোকসভা ধরে ধরে তিনি আলোচনা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। ফলে রাজ্য থেকে কোনও নাম পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কারণ অনেক সাংসদের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট শাহ ও নাড্ডা। প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁদের ছেঁটে ফেলার প্রবল সম্ভবনা। তিনি জানান, বৈঠকে তাঁদের সেই ইঙ্গিত দেন দলের সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ।
এর দুদিন পরেই দিল্লিতে তলব করা হয় রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। তাঁর কাছ থেকে পুজোয় জনসংযোগ বাড়াতে কী কী কৌশল নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান জে পি নাড্ডা। তাঁকেও বঙ্গ বিজেপির সংগঠন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে অসন্তুষ্ট এবং কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট মিটলেই সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ যে তাঁদের হাতে থাকবে না তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।