দিলীপ ঘোষ গাঁজা খায়, বুদ্ধিসুদ্ধিই নাই’, কটাক্ষ অনুব্রতর

নিজস্ব প্রতিনিধি: কমিশন যতই নজরবন্দি করুক না কেন যা ওষুধ তা তিনি ইতিমধ্যেই দিয়ে এসেছেন। তাই ১০০-র জায়গায় ২০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তৃণমূলের কিছুই যায় আসে না। ভোটের আগের রাতে এমন ভাবলেশহীন মেজাজেই দেখা গেল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতর স্পষ্ট কথা, কমিশন তো মোদির কথায় চলে। ওসব কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বীরভূমের কেষ্টদার দাবি, ”যা ওষুধ দেওয়ার দিয়ে এসেছি। আর আমি তো ভোটের দিন এমনিও কোথাও যাই না। পার্টি অফিসেই থাকি।’

    এর আগে বিধানসভা ভোটেও অনুব্রত মণ্ডলের উপর কড়া নজরদারি চালিয়েছিল কমিশন। কিন্তু এবার যে তিনি নিজের মোবাইল ফোনটাও হাতে নিতে পারবেন না! অনুব্রত তাতে থোড়াই কেয়ার করেন। স্বভাবসিদ্ধ মেজাজে জবাব, ”কথা আমি বলবই। আমার ফোন ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু বাকিরা তো নিজেদের ফোন ব্যবহার পারবে। ওতেই হবে।” ভোটের দিন সকাল থেকে নকুলদানা, জল সহযোগেই যে বীরভূমজুড়ে ভোট হবে সে কথাও জানিয়ে রাখলেন বীরভূমের এই দুঁদে নেতা। এরপরই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, দিলীপ ঘোষ তো তাঁকে অন্য রাজ্যে পাঠানোর কথা বলেছেন। মাথা গরম হচ্ছে না? দিলীপের নাম শুনেই দূরছাই ভঙ্গিতে জবাব অনুব্রতর, ”দূর ও তো গাঁজা খায়। একটা নেশাখোর। কোনও বুদ্ধিসু্দ্ধিই নাই।”

    রাজ্যের আট কেন্দ্রে ভোট। তালিকায় রয়েছে বীরভূম জেলার দুই কেন্দ্রও। বীরভূম ও বোলপুর কেন্দ্র দু’টিতে তৃণমূল সব দায়িত্ব সঁপে রেখেছে অনুব্রত মণ্ডলের কাঁধে। এমন একজন নির্বাচনের সৈনিককে ভোটের আগের দিন নজরবন্দি করে ফেলল কমিশন। ভোটের সারাদিন তাঁর সঙ্গে থাকবেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। অনুব্রতর প্রতিটা পদক্ষেপ ভিডিওক্যামেরাবন্দি করা হবে। যদিও এসব বিষয়কে মোটে আমল দিচ্ছেন না অনুব্রত।