|
---|
মহাম্মদ নওয়াজ শরীফ, মালদা: মালদা জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত কালিয়াচক কলেজের কনফারেন্স হলে পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ এর উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হলো সচেতনতা সভা। কলেজের এন এস এস বা ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম প্রথম ইউনিট এবং দ্বিতীয় ইউনিট মিলিত ভাবে আয়োজন করে এই অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম। এই সভায় পৌরহিত্ত করেন কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর নাজিবর রহমান, প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন কালিয়াচক ডক্টরস ক্লাবের সভাপতি, ডক্টর হাজিরুল ইবকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিল্কি হসপিটালের মেডিকেল অফিসার ডক্টর আশরাউল হক। সভা পরিচালনা করেন এনএসএস এর প্রোগ্রাম অফিসার ও জুলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ডক্টর সম্রিতা পান্ডা এবং আরবি বিভাগের মুন্সিফ্ আলি রিজবি সহযোগিতায় ছিলেন কলেজের ইন্টারনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরান্স সেল এর কো-অর্ডিনেটর এবং ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ডঃ সুব্রত কুমার দাস।
সভাপতির ভাষণে ডক্টর নাজিবর রহমান বলেন পতঙ্গ বাহিত রোগ বর্ষাকালে আমাদের বাংলায় হু হু করে ছড়ায়, তার ফলে ডেঙ্গি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। এই রোগের প্রকোপে বহু মানুষ মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয় এবং কেউ কেউ মৃত্যুমুখেও পতিত হয়। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে হলে মশার কামড় থেকে বাঁচতে হবে এবং আশেপাশে পরিবেশ পরিষ্কার রেখে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে লার্ভা জন্মগ্রহণ না করে। যদি লার্ভা সৃষ্টি হয়ে যায় তবে তা নির্মূল করার জন্য কেরোসিন অথবা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করতে হবে। ক্যাম্পাস যেমন পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে এন এস এস ভলান্টিয়ারদের উদ্যোগ নিতে হবে তেমনি নিজের বাড়ির পরিবেশ ও রক্ষা করতে হবে এবং অন্যান্যদেরকে এ সম্পর্কে জানাতে হবে। ডক্টর হাজারুল ইবকর বিশদভাবে মশা বা মাছি বাহিত রোগ এর লক্ষণ এবং আশু করনীয় ব্যবস্থা কি কি হতে পারে তা উল্লেখ করেন। নিজের বাড়ি বা এলাকার মধ্যে যাতে জল জমে না থাকে তা লক্ষ্য রাখার উপরে গুরুত্ব দেন। ডক্টর আশরাউল হক পিপিটি প্রদর্শনের মাধ্যমে আকর্ষণীয়ভাবে ভেক্টর বর্ন ডিজিস বা পতঙ্গ বাহিত রোগ গুলির কারণ প্রতিকার এবং প্রতিষেধক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য মশারি ব্যবহার ওডোমশ জাতীয় তরল পদার্থ শরীরের খালি জায়গাই মর্দন করার পরামর্শ দেন।