বাবু গর্জন করে জানিয়ে দিলো দক্ষিণারায় উপেন্দ্র নগর জঙ্গলে আছি

হাসান লস্কর সুন্দরবন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : সারা দিনে জপমালা বাঘ এর নাম নিয়ে। তাতেই রাত যত বাড়ে বাঘের ডাকেই আতঙ্ক বাড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

    বাঘের পায়ের ছাপ দেখে যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না প্রকৃত বাঘ আসতে পারে এই এলাকায়। কিন্তু এবার এলাকাবাসীর চোখে সামনে দিয়ে খাল পেরেলো, আর বনদপ্তরের কর্মীদের কান পৌঁছালো বাঘের গর্জন, আর তার পরেই বাঘ তাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করলো বনদপ্তর। এই প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও দেখা মিলছে নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বনদপ্তরের কর্মীদের সাথে এলাকার মানুষদের। নদী বাঁধে পাহারা দিতে। সকাল থেকে শুরু হলো নদীর জঙ্গলে জাল ঘেরার কাজ।

    উল্লেখ্য দুমাস ধরে বাঘের আতঙ্ক চলছে পাথরপ্রতিমা এলাকায়। কখনো শ্রীধর নগর, কখনো বা সিতারামপুর ইন্দ্রপুর, রাখালপুর আর উপেন্দ্রনগর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। বনদপ্তরের কর্মীরা গত দুমাস ধরে ঘর ছেড়ে জঙ্গলে নৌকায় বসবাস শুরু করেছে, বাঘের খুঁজে চলছে প্রতিদিন চিরুনি তল্লাশি।

    শেষ পর্যন্ত উপেন্দ্র নগর ঠাকুরান নদীর চরে বাঘের গর্জন শুনে বুঝতে পারা গেল দক্ষিণা রায় সেইখানেই আছে, শুরু হয়ে গেল বাঘ ধরার প্রস্তুতি, এখন দেখার বিষয় । দুমাস ধরে যে বাঘ খাঁচায় ঢোকেনি শ্রীধরনগর জঙ্গলে খাঁচায় ঢোকে কিনা! এবার যদিখাঁচায় ঢোকে বনদপ্তর যেমন খুশি হবে তেমনি এলাকাবাসী.।আতঙ্ক কাটবে কি সকলের।