বঙ্গীয় শিল্প সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে কলকাতায় উদযাপিত হল নবান্ন উৎসব

লুতুব আলি, নতুন গতি : বঙ্গীয় শিল্প সংস্কৃতি মঞ্চ আয়োজন করেছিল নবান্ন উৎসব। কলকাতার এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বাংলার নবান্ন উৎসব কে চাক্ষুষ দেখতে পেল কলকাতাবাসি। বিশ্বায়নের প্রভাবে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ প্রায় বিলুপ্তি হতে চলেছে। বঙ্গীয় শিল্প সংস্কৃতি মঞ্চ গ্রাম বাংলার এই প্রাচীন উৎসব নবান্ন কে উপহার স্বরূপ উপস্থাপিত করল। সংগঠনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু সকলকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে কৃষকদের সম্মাননা জ্ঞাপন করে নবান্ন উৎসবের সূচনা হয়। উপস্থিত সকলকে পিঠে, পায়েস, নবান্ন খাওয়ান সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু। এদিন সবুজ মন ও আমাদের বড় দিদি দুটি বই প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন। উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বরুণ চক্রবর্তী, রঞ্জনা গুহ, রঞ্জনা কর্মকার, বাঙালিয়ানার প্রবক্তা ডাক্তার পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায়, অলিপ্পা বসু, মৃণালিনী ভট্টাচার্য, লক্ষ্মী বিশ্বাস, শিব সংকর বক্সী, নাজনিনা সুলতানা, অগ্নিশিখা, ডক্টর সৌমেন্দ্রনাথ ঘোষ, শেখ মনির উদ্দিন। চেয়ারম্যান ছিলেন মুস্তাক আহমেদ ও সভাপতি সুমনা সেনগুপ্ত, সহ চেয়ারম্যান বিউটি দাস, সহ-সভাপতি সুমিতা পয়রা। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত বক্তারা নবান্ন উৎসব সম্পর্কে বিশদে আলোকপাত করেন। সংগীত পরিবেশন করেন কল্লোল কাজী। কৃষক থেকে স্কুল শিক্ষক অমর কুমার দাস, জয়দীপ রায় চৌধুরী, অপূর্ব কুমার গাঙ্গুলীদের কবি ভূষণ সম্মান দেওয়া হয়। বিবেক চেতনা সম্মাননা দেয়া হয় ডাক্তার পার্থ সারথী মুখোপাধ্যায়, ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় সম্মান দেয়া হয় অভিরাজ সুর কে। অনুষ্ঠানের সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খানের শোক পালন করা হয়। প্রাক্তন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর প্রয়াণ দিবস ও স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মধুমিতা ধূত।