বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে শিশু শ্রমিক ও বৃদ্ধদের পিকনিক।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে শিশু শ্রমিক ও বৃদ্ধদের পিকনিক। বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে সদর ঘাটে দামোদর নদের ধারে ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হল বিনামূল্যে পিকনিক। আয়োজক বর্ধমান সদর প্যয়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন এলাকার আড়াইশো জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং দুস্থ মানুষ ও শিশু শ্রমিকদের নিয়ে এই অভিনব পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। বর্ধমান শহরের কোড়াপাড়া, মল্লিক পুকুর, শ্মশানপাড়া, হুচুক পাড়া থেকে যে সমস্ত এই অবহেলিত নিষ্পেষিত, দুস্থ মানুষরা এই পিকনিকে হাজির হয়েছিলেন তাদের প্রত্যক্ষ করতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুণী মানুষেরাও এই বিরল দৃশ্য দেখলেন, এই স্তরের মানুষদের পিকনিক মানে তাদের কাছে আকাশে চাঁদ পাওয়ার সমান। দুবেলা দুমুঠো পেট পুরে খেতে পান না তাদের কাছে এদিনের পিকনিক ছিল এক অন্য স্বাদের। পিকনিকের সকালটা শুরু হয়েছিল কফি কেক মুড়ি ও বেগুনি ভাজা দিয়ে। দুপুরের মেনুতে ছিল ভাত বেগুনি ডাল ফুলকপির তরকারি মাংস, মাছ মাছ, পনির, চাটনি, পাপড় ভাজা, শেষ পাতে রসগোল্লা। দুস্থ মানুষদের আনন্দ দেওয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল মিউজিকাল চেয়ার ও বল ছড়া প্রতিযোগিতার এবং উপহার হিসেবে দেয়া হয় নিত্য ব্যবহার্য মুদিখানা সামগ্রী। সকলের হাতে তুলে দেয়া হয় শীতের কম্বল। কেরিমা বিবি, গঙ্গাধর বাগরা জানান, বছরের শেষে হালকা শীত মানেই পিকনিক। সমর্থ্য নেই কিন্তু ইচ্ছা ছিল ষোল আনা, সকলের ইচ্ছে পূরণ হলো। এই সংস্থাটিকে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছি। সোসাইটির সম্পাদক প্রলয় মজুমদার জানান, এই আনন্দ বয়স্ক মানুষদের নতুনভাবে বাঁচতে উৎসাহিত করে। সোসাইটির মিডিয়া অফিসার অঙ্কিতা সাম বলেন, এদিনের পিকনিক টি বস্তুনিষ্ঠভাবে রঙিন হয়ে উঠেছিল। পিকনিকে সোসাইটির পক্ষ থেকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত ভূঁইয়া, ঐন্দ্রিলা সাধুখাঁ, মনীষা মন্ডল, শিল্পা অধিকারী, অয়ন মাঝি, স্নিগ্ধ দাস প্রমুখ।