চেয়ার ছেড়ে মাটিতে বসে পরিসেবা দিলেন স্বয়ং বিডিও

ইয়াসমিন খাতুন:  নিজের চেয়ার ছেড়ে মাটিতে বসে সাধারন মানুষকে পরিসেবা দিলেন স্বয়ং বিডিও। আর ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শরগোল পড়ে গেলো প্রশাসনিক মহল থেকে সাধারন মানুষের মধ্যে। এমনই ছবি ধরা পড়লো শুক্রবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। শুক্রবারই ছিলো রাজ্য জুড়ে প্রথম দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের কাংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন শুরু হয় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সরকারী পরিসেবা নিতে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ আসেন ক্যাম্পে। কোন কাজের জন্য কিভাবে আবেদন করব, ফর্ম ফিলাপ কি ভাবে করব তা সবাই বুঝতে পারেন না। হন্যে হয়ে দৌড়ে বেড়ান বিভিন্ন জায়গায়। আর সাধারন মানুষকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলেন স্বয়ং বিডিও। তাও আবার নিজের অফিসার মূলক ভাবমূর্তি ছেড়ে একদম পাড়ার দাদার মতোই। তিনি সত্যজিৎ বিশ্বাস। বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের সদ্য নিযুক্ত বিডিও। এদিন তাকে দেখা যায় সাধারন পোষাকে সাধারন মানুষের মতো করেই মাটিতে বসে সাধারন মানুষকে পরিসেবা দিতে। যা দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন তার দফতরের অধস্তন অফিসাররা। যদিও বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, সেরকম কিছু না, বিভিন্ন মানুষ আসছেন পরিসেবা নিতে। কিভাবে কি করতে হবে সেটা বুঝিয়ে বলে দিচ্ছিলাম। আর সাধারন মানুষ এরকম এক অফিসারকে “কাছের মানুষ” হিসেবে পেয়ে খুব খুশি।

     

    সাধারন মানুষ আর সরকারী দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে সবসময়ই একটা দূরত্ব দেখা যায়। অনেক সময় এমনও অভিযোগ আসে সরকারী দফতরের অফিসাররা সাধারন মানুষের সঙ্গে সহযোগিতা করেন না। একজন সাধারণ মানুষ আর একজন অফিসারের মধ্যে একটা মেন্টাল ডিসটেন্স থাকে অনেকাংশেই। আর আজ এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে একটি ব্লকের সর্বময় প্রশাসনিক কর্তাকে এভাবে একদম মানুষের কাছে “আপণ” হয়ে সাহায্যের হাত বাড়ানোই সাধারন মানুষ যেমন খুশি তেমনি সরকারের সরকারী পরিষেবা পৌছে দেবার যে উদ্দেশ্য তা এই ধরনের অফিসারদের জন্যই ফলপ্রশু হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।