ভাগীরথী থেকে উদ্ধার হল পাথরের বস্তার সঙ্গে বাঁধা দেহ!

নিজস্ব সংবাদদাতা : সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্বামী। পর দিন সকালে পরিবারের লোক ও পড়শিরা খোঁজাখুঁজি করতে বেরিয়ে বাড়ির অদূরে রক্তের দাগ দেখতে পান। পরে সেই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল ভাগীরথী নদী থেকে। পাথরের বস্তার সঙ্গে বাঁধা ছিল সেই দেহ। জল থেকে তুলে আনার পর দেখা গেল, শরীরের নানা জায়গায় ক্ষতচিহ্ন! দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ধারালো কিছু দিয়ে ক্রমাগত কোপানো হয়েছে। তার পর তা ভাগীরথীর জলে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।বুধবার সকালে এই দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার অগ্রদ্বীপ গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম টুটুল বিশ্বাস (৪৩)। অগ্রদ্বীপের বাবলাডাঙা পাড়ার বাসিন্দা তিনি। স্থানীয়েরা জানান, টুটুল পেশায় কৃষক। বাড়িতে স্ত্রী, বিধবা মা ও এক ছেলে রয়েছে। ছেলে শুভম দশম শ্রেণিতে পড়ে। চাষাবাদের পাশাপাশি সুদে টাকাও খাটাতেন টুটুল।

     

    স্ত্রী সবিতা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে চা বিস্কুট খেয়ে বেরিয়েছিলেন টুটুল। ফিরে আসেন কিছু ক্ষণ পরেই। এর পরেই টুটুলের একটি মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোন পেয়ে আবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান স্বামী। আর ফেরেননি। বার বার ফোন করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর বুধবার সকাল থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোক ও পাড়াপ্রতিবেশীরা। সেই সময়েই বাড়ি থেকে আধ কিলোমিটার দূরে রক্তের দাগ দেখা যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আশপাশে শুরু হয় তল্লাশি। এর পর পাটুলি ঘাটের কাছে কোমর সমান জল থেকে উদ্ধার হয় টুটুলের দেহ। সবিতা বলেন, ‘‘আমার স্বামীর বাড়ি ফিরতে মাঝেমধ্যেই রাত হত। রাত হচ্ছে দেখে স্বামীর খাবার বেড়ে রেখে আমরা খেয়ে শুয়ে পড়ি। ঘুমিয়ে পড়ি। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি, তখনও স্বামী বাড়ি ফেরেননি। অনেক বার ফোন করেছিলাম। কিন্তু ওঁর মোবাইলে ফোন করলে সুইচড অফ পাওয়া যাচ্ছিল।’’পুলিশ সূত্রে খবর, টুটুলের ক্ষতবিক্ষত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই খুনের পিছনে ব্যবসায়িক বিবাদ না কি টাকার লোভেই খুন— তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।