|
---|
হরিশ্চন্দ্রপুর,মহ: নাজিম আক্তার, 8 জানুয়ারি: রাজনৈতিক একদল নেতাকে কাছে পেয়েও দুই বোনের মুখে জবাব নেই। মহরমি খাতুন ও রাহাত খাতুন জন্ম থেকেই বোবা।দুই প্রতিবন্ধী বোনের আবেদন তারা কবে পাবে প্রতিবন্ধী ভাতা?এলাকার নেতা, পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসনকে বলেও মিলেনি কোন সরকারি সাহায্য। হরিশ্চন্দ্রপুরের বহর গ্রামে ছোট্ট ভাঙাচোরা রান্নাঘরেই তাদের বসবাস। নেতারা প্রতিবন্ধী ভাতা ও ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তারা ভরসা পাচ্ছেন না। অপরদিকে এলাকার মহমুদা বিবি ও বাবুল আলমেরা জানান, তাদের এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা নেই, রাস্তাঘাট এখনো কাঁচা অবস্থায় রয়েছে, এলাকার নেতারা ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকার দাবি করেন বলে অভিযোগ করে জানান নেতাদের।
গতকাল ওই এলাকার নুরেসা বিবির স্বামী হৃদয় রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।নেতাদেরকে কাছে পেয়ে তার দুঃখের কথা তুলে ধরেন। তজমুল হোসেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের দু লক্ষ টাকা,সমব্যাথী প্রকল্পের টাকা ও বিধবা ভাতা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রামে গ্রামে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভাইস-চেয়ারম্যান তথা তজমুল হোসেন, মালতিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক রহিম বক্সি, মালদা জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী ও কুশিদা জিপির প্রধান আক্তারি খাতুন শনিবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা জিপির বহর ও হোসেনপুর এলাকায় জনসংযোগ ও দিদিকে বলো কর্মসূচী পালন করলেন। এদিন নেতারা মানুষের অভাব অভিযোগ সরাসরি বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুনলেন।
দিন কয়েক ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকা জুড়ে জনসংযোগ যাত্রায় ঝড় তুলেছেন প্রাক্তন বিধায়ী তথা তৃণমূল নেতা তজমুল হোসেন। কখনও এই পাড়া তো আবার কখনও ওই পাড়া। মহেন্দ্রপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, সুলতাননগর ও ভিঙ্গল অঞ্চলের গ্রামের মানুষের কাছে লাগাতার পৌঁছছেন তিনি।
গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন এবং দিদিকে বলো কর্মসূচির মুখ্যমন্ত্রীর নম্বর দেওয়া কার্ড তুলে দেন দুই প্রাক্তন বিধায়ক।পাশাপাশি মানুষের সমস্যা কথা শুনেন ও সমাধানের আশ্বাস দেন।পানীয় জল ও জল নিকাশের সু-ব্যবস্থা করার আর্জি জানান গ্রামবাসী। তাদের সমস্যার শুনে তজমুল হোসেন আশ্বাস দেন সমাধানের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসারি কোন অভাব অভিযোগ জানানোর জন্য ফোন যুক্ত একটি করে কার্ড বিলি করেন তারা।
এই বিষয়ে তজমুল হোসেন জানান,“গ্রামে ঘুরে নানা সমস্যা কথা জানাছে গ্রামবাসীরা। সমস্ত গ্রামে প্রায় মানুষের বিভিন্ন রকম ভাতা বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নানা কারণে। পাশাপাশি কোথাও কোথাও পানীয় জল, রাস্তা, ড্রেনের একাধিক সমস্যা রয়েছে। বড়ো ধরণের সমস্যা হলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সরাসরি কথা বলার বার্তা দেওয়া হয়েছে।