ইংরেজি বছরের বিদায় ও নীরেন্দ্র চক্রবর্তী র শতবর্ষের অনুষ্ঠান কলকাতায়।

লুতুব আলি, নতুন গতি : ইংরেজি বছরের বিদায় ও নীরেন্দ্র চক্রবর্তী র শতবর্ষের অনুষ্ঠান কলকাতায়। ২০২৩ সালকে বিদায় জানানো হলো ও একইসঙ্গে বিশিষ্ট কবি নীরেন্দ্র চক্রবর্তী র শতবর্ষের অনুষ্ঠান হল শিয়ালদহ র কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল হলে। আয়োজক আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সাধনা মঞ্চ। ৩০ ডিসেম্বর এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সংগঠনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু। সংগঠনটি ঐতিহ্যগতভাবে বাংলা নববর্ষ কে যেমন ভাবে বিদায় ও স্বাগত জানায় ঠিক একইভাবে ইংরেজি বছরকে বিদায় জানালো। বিদায় জানানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানালো। একইসঙ্গে বাংলার বিশিষ্ট কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী র শতবর্ষ চলায় তাঁকেও আন্তরিকভাবে মনে রাখার মতো অনুষ্ঠান দেখল কলকাতা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অভিনবত্ব ছিল শীতকালীন সবজি ও অন্যান্য বিশেষ সামগ্রী দিয়ে অনুষ্ঠানের অতিথিদের বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুশান্ত মন্ডল। অনুষ্ঠানের বক্তাদের মূল বক্তব্য ছিল: বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে গোটা পৃথিবী পরিচালিত হচ্ছে। ভিতর ও বাহিরে একটা যুদ্ধ চলছে। সেটা দাম্পত্য বা পারিবারিক যুদ্ধ, এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের সমগ্র বিশ্বে এই যুদ্ধ বিশ্বায়িত হচ্ছে। সমস্ত কিছু ঊর্ধ্বে গিয়ে সৃজনশীলতার দিকে দৃষ্টি আরোপ করার উপর জোর দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বরেণ্য কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর চিরন্তন লেখাগুলি পাঠকদের কাছে এখনো সমানভাবে উজ্জ্বল। অনুষ্ঠানে চন্দ্রনাথ বসু একুশ জন নারীকে বর্ষসেরা সম্মান জানান। আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মান যাঁদের দেওয়া হয় তাঁরা হলেন সুদেষ্ণা বি চৌধুরী, অমর কুমার দাস, দেবব্রত মাজি। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী স্মৃতিস সম্মাননা পান সুমনা সেনগুপ্ত, জয়দীপ রায় চৌধুরী, শিপ্রা রায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি সম্মাননা পান রানু রায়। সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মাননা পান শর্মিষ্ঠা রায়। কিশোর কবি অভিরূপ সুরকে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য সম্মাননা দেওয়া হয়। অধ্যাপিকা মৌমিতা সরকার কে ভারতীয় নারী সম্মাননা দেয়া হয়। নারী আন্দোলনের জন্য। এই সম্মাননা গুলি তুলে দেন চিত্রশিল্পী সৈকত খাড়া, শেখ মনির উদ্দিন, মৌলভি মিশ্র। চন্দ্রনাথ বসু বলেন, বিপর্যস্ত সমাজের কথা বেশি বেশি করে তুলে ধরতে হবে। কবি ও সাহিত্যিকদের এ ব্যাপারে কলমকে আরও শাণিত করে প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে হবে। অধ্যাপিকা মৌমিতা সরকার বলেন, দেশে এখনো নারী স্বাধীনতা বিপন্ন! অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড: এমদাদ হোসেন, কমল দে সিকদার, কবি বরুণ চক্রবর্তী, শম্পা সামন্ত, অলিপা বসু, শিব শংকর বক্সী, শুকুর আলী মল্লিক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মধুমিতা ধূত।