শালবাড়ি এলাকায় যুবতীর আত্মহত্যা ঘিরে চাঞ্চল্য

ময়নাগুড়ি: শনিবার, ময়নাগুড়ি ব্লকের শালবাড়ি এলাকার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের একমাত্র কন্যা কৃষ্ণা রায় জল্পেশ লক্ষীকান্ত উচ্চতর বিদ্যালয় এর অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।

    পরিবার সূত্রে জানা যায় মৃত কৃষ্ণা রায় কে প্রায়ই উত্যক্ত উত্ত্যক্ত করতো মধ্য শালবাড়ি চিন্ময় সরকার নামে এক যুবক। এবং মৃত মেয়েটির সঙ্গে জোর করে ফটো তুলে বলে অভিযোগ। এবং সেই ফটো ভাইরাল করে ওই যুবক। সেই ছবি দেখে কৃষ্ণা রায় লজ্জায় ঘৃণায় বাড়ির লোককে কি করে মুখ দেখাবেন অভিমানে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে শুক্রবার।

    গতকাল বাড়ির লোকের অজান্তে নিজের ঘরে ফাঁস লাগায় কৃষ্ণা রায়। এরপর বাড়ির লোক তাকে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ না মেলায় পরিবারের লোকেরা ঘরের জানালা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় কৃষ্ণাকে ।

    এই অবস্থায় ময়নাগুড়ি থানা পুলিশকে খবর দিলে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কৃষ্ণ রায় কে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর‌।

    অন্যদিকে এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা। এলাকাবাসীরা জানান কৃষ্ণা খুব ভালো স্বভাবের মেয়ে বলে এলাকা মানুষ জানে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ও পরিবারের লোকেরা অভিযুক্ত চিন্ময় সরকারের নামে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ করেন। এবং তারা জানান পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্ত চিনময় সরকারের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিক। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে আর।