গলসির চাষিরা দুষন রুখতে গন অবস্থান আট দিন হলও অনড়

আজিজুর রহমান, গলাসি : ২০ ই  জুন,মাথার উপরে দুটি ত্রিপলের ছাউনি নিয়েই গন অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে গলসির চাষিরা। একদিকে মেঘলা আবহাওয়ায় সারাদিন বৃষ্টি পড়ছে। অন্যদিকে ধানের দাম না থাকায় খামারে পরে আছে সোনার ফসল। দুর্যোগ উপেক্ষা করেই গন অবস্থান অনড় গলসির চাষিরা। আজ তাদেরে গন অবস্থান আট দিন হতে চলেছে বলে জানা গেছে। সারাদিন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ও খেয়ে না দেয়ে ওই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। চাষিদের একটাই দাবী জল দুষন ও বায়ু দুষন বন্ধ করতে হবে। সুরক্ষা দিতে হবে সমাজকে। একদিকে লকডাউনে প্রশাসনের কথা মেনে দশ বারোজন চাষি মঞ্চে উপস্থিত থাকছেন। অন্যদিকে নিজেদের খাবার নিজেরাই ব্যবস্থা করছেন। একদল নিদিষ্টি সময় থেকে চলে গেলে আবার একদল যোগ দিচ্ছেন। এই ভাবেই গলসির পারাজ মোড়ে ও পারাজ স্টেশন রাস্তায় উপর দুটি মঞ্চ করে গন অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন গলসির চাষিরা। গত বৃহস্পতিবার বুদবুদে চাষি ও মিল মালিকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা করেন ব্লক প্রশাসন। যেখানে সেখ কিবরিয়া, সেখ আলি আহম্মেদ, নাজমুল জামাদার ও সেখ কালামউদ্দিন নামে এই চারজন চাষি  প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছিলেন। ব্লক প্রশাসন তাদের কথা শোনেন। তারপরও নাছোড়বান্দা চাষিরা। গলসির পারাজ গ্রামের চাষি আলি আহম্মেদ বলেন যতক্ষণ প্রযন্ত  কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। মিলকে জলদুষন ও বায়ুদূষণ বন্ধ করতে হবে। ২৩ টি মিলের জন্য তাদের এলাকায় জল সংকট দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ সমস্যায় পরছে। এখানে সরকারের বিরুদ্ধে নয় মিলের দুষনের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন চলছে। যা মিল মালিকরা সরকার বিরোধী বোঝাতে চাইছে। তিনি বলেন ভূগর্ভ থেকে লাগাতার জল তুলে নিচ্ছে যার জন্য অদুর ভবিষ্যতে পানীয় জল শেষ হয়ে যাবে তাদের এলাকায়। তাছাড়া মিল মালিকরা তাদের যে ধান নষ্ট করেছে সেই ধান মিলকেই নিতে হবে একটি মধ্যস্থতা দাম করে। পুরসার চাষি নাজমুল জামাদার  বলেন,  এর আগেও বহুবার তারা দুষন পর্ষদকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তাদের এলাকার চাষিরা। সেই মতো দুষন পর্ষদ স্থানীয় একটি মিলকে জরিমানা করেছেন। তবুও তাদের হেলদোল নেই। পাশাপাশি ফোরে মারফৎ চোরা পথে ভিন রাজ্যের ধান ঢুকে এলাকায় ধানের বাজারদর কমিয়ে দিচ্ছে। যা তাদের সাথে সাথে রাজ্যের পক্ষেই খুব ক্ষতিকারক। মিলাররা ওই ধান রাতারাতি চাল তৈরি করে বাজারে ছেড়ে দিয়ে মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছে। মাঝখান থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাজার হাজার কৃষক। তাছাড়া রাতের বেলায় লোকচক্ষুর আড়ালে জল ও বায়ুকে দুষন করছে। তবে এবার তারা এর শেষ দেখেই ছাড়বেন।