কুলতলিতে সন্তানদের খুনের হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ

নিজস্ব সংবাদদাতা : স্বামীকে রাতে কাজের জন্য মাঝেমধ্যে বাইরে যেতে হয়। এদিনও যেতে হয়েছিল। আর সেই রাতে ঘরে ছিল ছোট সন্তান নিয়ে ছিলেন গৃহবধূ। এই একা থাকার সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল একই গ্রামের বাসিন্দার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কুলতলি থানার পুলিশ। তবে সন্তানদের খুনের হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। অভিযুক্তকে ধরে বেধড়ক মারধর করে আমজনতা। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।এদিকে মঙ্গলবার রাতে গৃহবধূর স্বামী কাজে গ্রামের বাইরে গিয়েছিলেন। তখন বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে একাই ছিলেন গৃহবধূ। অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘরের মধ্যে ঢুকে ওই গৃহবধূকে বলে, সন্তানদের খুন করে ফেলব। তারপরই ভীত গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী নির্যাতিতাকে হুমকিও দেয় যদি তিনি চিৎকার করেন তাহলে তাঁর সন্তানদের প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ভোররাতে কাজ সেরে বাড়িতে গৃহবধূর স্বামী ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতা। সমস্ত ঘটনা স্বামীকে খুলে বলেন তিনি। তারপরই শুরু হয় অভিযুক্তের খোঁজ।অন্যদিকে কুলতলির ৭ নম্বর মেরিগঞ্জের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা। মঙ্গলবার রাতে তাঁর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত বাবুরালি গাজি। তারপর সন্তানদের খুনের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে গৃহবধূকে বলে অভিযোগ। আর কাজ সেরে ফেরার পথে স্ত্রীর আর্তনাদ শুনতে পান স্বামী। আর তখন সব কথা খুলে বলেন নির্যাতিতা। এরপরই অন্যান্য গ্রামবাসীদের নিয়ে বাবুরালি গাজিকে খুঁজে বের করেন স্বামী। আর সকলে মিলে গণধোলাই দেন।আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই পরিস্থিতিতে খবর দেওয়া হয় কুলতলি থানায়। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আতঙ্কে ভুগছেন নির্যাতিতা এবং তাঁর সন্তানরা। নির্যাতিতার স্বামী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌আমি রাত ১২টার সময় কাজ করে ফিরেছি বাড়িতে। তখন দেখি কেউ একটা বাড়ি থেকে অন্ধকারে পালিয়ে যাচ্ছে। আর স্ত্রী ভিতরে কান্নাকাটি করছে। আমি জিজ্ঞাসা করতেই স্ত্রী আমায় জানায় অভিযুক্ত শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। তখনই আমি বেরিয়ে যাই। আর ছেলেটাকে ধরি। গ্রামের সবাইকে জানাই। ওকে মারধর করা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ ছেলেটাকে গ্রেফতার করেছে।’‌