কেশপুর ব্লকের ঘোষপুর শ্রীনেহেরু হাইস্কুলে চারটি মূর্তি উন্মোচন সহ নানা কর্মসূচি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরুর নামাঙ্কিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত ‘ঘোষপুর শ্রীনেহেরু হাইস্কুলে’ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়। বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। দ্বিতীয় পর্বে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি সঞ্জয় প্রামাণিক । প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) স্বপন সামন্ত মহাশয়, বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়’-এর অধ্যক্ষ ড.দীপক ভূঞা, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাননীয় চিত্তরঞ্জন গড়াই বিশিষ্ট বেতার শিল্পী বিশ্বেশ্বর সরকার, বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রদ্যোত পাঁজা,স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যবৃন্দ। পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চৌধুরী, শ্যামল ঘটক সঞ্জয় সেনাপতি, সুশান্ত মণ্ডল, মোস্তাক আহমেদ সহ আরো অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, সমাজসেবী, বিশিষ্ট জন সহ অভিভাবট-অভিভাবিকাগণ। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ আয়োজক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকেশ রঞ্জন বসু। তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের মাধ্যমে সকলকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে, বিদ্যালয়ের নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি কথা তুলে ধরার পাশাপাশি এবং দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। উপস্থিত জেলা বিদ্যালয়ের পরিদর্শক স্বপন কুমার সামন্ত পণ্ডিত জহরলাল নেহেরুর আবক্ষমূর্তি উন্মোচন করেন। নেহেরুজীর মূর্তি ছাড়াও এদিন বিদ্যালয়ে আরো তিনটি আবক্ষমূর্তির উন্মোচন করা হয়। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করেন চিত্তরঞ্জন গড়াই । মূর্তিটি দান করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর নিবাসী মঞ্জু বসু । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি উন্মোচন করেন অধ্যক্ষ ড. দীপক কুমার ভূঁইয়া।মূর্তিটি দান করেছেন সেনা বিভাগের প্রাক্তন সেনা হিমাংশু দত্ত।বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি উন্মোচন করেন প্রখ্যাত বেতার শিল্পী বিশ্বেশ্বর সরকার।মূর্তিটি দান করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানস ঘোষ ও উত্তম দণ্ডপাট।

    বিদ্যালয়ের উন্নতিকল্পে এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্র পঞ্চানন পলমল, বিকাশ মাইতি, পঞ্চু জানা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তির মাধ্যমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে। উপস্থিত বিশিষ্টবর্গ বিদ্যালয়ের গৃহীত কর্মসূচির প্রশংসা করেন এবং বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের হাতে। সভাপতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যের ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।