স্বাধীনতার সংগ্রামীদের অবদান বিষয়ক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্র কালিয়াচক কলেজে

    নতুন গতি, মালদা: অনলাইন এবং অফলাইন যৌথ পদ্ধতিতে এক দিবসীয় আন্তর্জাতিক আলোচনা-চক্র অনুষ্ঠিত হলো কালিয়াচক কলেজে। কালিয়াচক কলেজ এর উদ্যোগে এবং মানিকচক কলেজের কোলাবরেশনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা চক্রের বিষয়বস্তু নির্বাচিত ছিল “হিরোজ অফ ফ্রিডম মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া ইন আনডিভাইডেড বেঙ্গল”। এই ইন্টারন্যাশনাল সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সশরীরে উপস্থিত হ’ন বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আকান্দ। একাধারে তিনি বিশিষ্ট শিক্ষক, প্রথিতযশা কবি, গবেষক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। আন্তর্জালিক পদ্ধতিতে যোগদান করেন দিল্লি আইআইটি এর ভুতপূর্ব অধ্যাপক ডক্টর বিনোদ কুমার ত্রিপাঠী, তিনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষায় হ্যান্ডবিল লিফলেট তৈরি এবং বিতরণ পূর্বক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংবিধান রক্ষার সামাজিক কাজে নিয়োজিত। গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা হোসনেয়ারা খাতুন ও আন্তর্জালিক পদ্ধতিতে যোগদান করেন। এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কালিয়াচক এর অধ্যক্ষ ডক্টর নাজিবর রহমান। মানিকচক কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী প্রথম টেকনিক্যাল সেশন টিতে চেয়ারপারসন হিসেবে যোগদান করেন। গোটা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কালিয়াচক কলেজের ইতিহাস বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার, ডঃ ঋতব্রত গোস্বামী ও মেথাম্যাট্রিক্স ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান, ড. মনিরুল ইসলাম এবং সহযোগিতা করেন ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার ডক্টর সৌরভ পাল ও আরবি বিভাগের স্টেট এইডেড কলেজ টিচার মুন্সিফ আলী রিজভী ।

    সভাপতির ভাষণে অধ্যক্ষ নাজিবর রহমান সকল স্বাধীনতা সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সংস্থা বা সংগঠন এর অবদান আমাদের আজকের এবং আগামী দিনের ছাত্র-ছাত্রীদের অথবা আগত দিনের নতুন প্রজন্মকে কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করা দরকার। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কোরবানি বা ত্যাগের মহিমা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রেরণা গ্রহনের মাধ্যমে দেশ সমাজ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার বলে দৃঢ়ভাবে মত পোষণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মফিজুর রহমান বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকেই প্রথম শহীদ হিসেবে চিহ্নিত করেন। যথার্থভাবেই ফকির বিদ্রোহ, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, সিপাহী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে অন্তিম পর্যায়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অবদান তুলে ধরেন। মন্তব্য করেন আগামী দিনেও বাংলা গোটা দেশকে পথ দেখাবে নব নব উৎকর্ষের ব্যাপারে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসনিয়ারা খাতুন ‘কেজড টাইগারস অব ফ্রিডম স্ট্রাগল, বিষয়ের উপরে বক্তব্য প্রসঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মহিমান্বিত অবদানকে তুলে ধরেন। দিল্লি আইআইটির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডক্টর ভি. ত্রিপাঠী লবণ সত্যাগ্রহ সম্পর্কিত বিষয়ের উপরে আলোকপাত করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে স্মরণ করেন এবং স্বাধীনতার মহিমা অক্ষুন্ন রাখার জন্য সমস্ত নাগরিকের দায়িত্ব কে স্মরণ করিয়ে দেন।