নদিয়া জেলার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির অধীনস্ত চালু হল কৃষ্ণগঞ্জ কৃষক বাজার

নিজস্ব সংবাদদাতা:মেয়েদের বিশেষ করে বাঙালি মেয়েদের শাড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয় এক পোশাক। যেকোনো ধর্মীয় অথবা সামাজিক অনুষ্ঠানে বেশিরভাগ মেয়েরাই শাড়ি পড়তেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে বেশি। নদিয়া জেলা গোটা বাংলার বুকে শাড়ির রপ্তানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে নদিয়ার শান্তিপুর ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ি বিখ্যাত গোটা বিশ্বে। শান্তিপুরে রয়েছে একাধিক তাঁত শ্রমিক ও কাপড় বিক্রেতারা। এমনকি শুধু শান্তিপুরী নয় গোটা নদিয়া জেলা জুড়ে রয়েছে বহু তাঁত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। করোনার জেরে অনেক তার শ্রমিকেরই অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। সেই কারণে কাপড়ের বেচাকেনাও তুলনামূলকভাবে গত দু’বছর অনেকখানেই কমে গিয়েছে।

     

    এবার পুনরায় অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে নদিয়া জেলার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির অধীনস্ত চালু হল কৃষ্ণগঞ্জ কৃষক বাজার। নদিয়ার বিখ্যাত তাঁতের ও হ্যান্ডলুম শাড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন রেডিমেড কাপড়ের পোশাক থাকবে বলে এই হাটে জানা যায়। আশা করা যাচ্ছে এই হাট চালু হওয়ার ফলে বিভিন্ন তাপ শ্রমিক ও কাপড়ের ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা হলেও ফিরবে।সম্পূর্ণ সরকারি উদ্যোগে এই কাপড়ের হাট চালু হল বলে জানা যায়। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত চলবে এই হাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা এসে এই হাটে বেচাকেনা করতেন পারবেন বলে জানা যায়।এই হাটে কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য যেতে হবে কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতে। পঞ্চায়েত সমিতিতে লিখিতভাবে আবেদন করার পর, তাদের অনুমতি সাপেক্ষে এই হাটে বসা যাবে বলে জানালেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। মঙ্গলবার সকালে এই হাটের উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক হালদার, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের বিডিও কামাল উদ্দিন আহমেদ ও নদিয়া জেলা বাজার কমিটির আধিকারিক সুদীপ কুমার পাল এবং কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি বাবিন মুখার্জি ও একাধিক বিশিষ্ট নাগরিকেরা। আশা করা যায় এই হাট শুরু হওয়ার ফলে কিছুটা হলেও শাড়ির বাজারের অবস্থা ফিরবে।