|
---|
নতুন গতি,মালদা ১০ নভেম্বর: ব্যবসায়ীর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রীতিমতো তেতে উঠেছিল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা, ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্তরা, ক্ষোভে ফুঁসছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের ব্যবসায়িক মহল, অভিযুক্তরা তৃণমূলের হওয়াই এখনো গ্রেপ্তার হয়নি উঠছে এমন অভিযোগও, পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ব্যবসায়ী সংগঠনের,সবমিলিয়ে সরগরম এলাকা |
অভিযুক্তরা শাসকদলের হওয়ায় তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না বলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে জেলাজুড়ে ব্যবস্থা বন্ধের হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার ব্যবসায়ী পবন কেডিয়ার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর ও মহিলাদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে যুব তৃণমূল নেতা দুর্জয় দাস ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। যুব তৃণমূল নেতা দুর্জয় আবার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা বাসন্তী দাসের ছেলে। ওই ঘটনায় যুব তৃণমূল নেতা যুব নেতা দুর্জয় দাস ও আরও তিনজনের নাম ধরে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে পুলিশে অভিযোগ করায় ওই যুব নেতা দলবল নিয়ে রাতে ব্যবসায়ীকে হুমিকও দেন বলে অভিযোগ। যুব নেতা যেভাবে নিজের উদ্যোগে দলবল নিয়ে হামলা চালান তাতে ক্ষুব্ধ তৃণমূলেরও একাংশ। ফলে ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা পার হলেও অভিযুক্তদের কেউ কেন গ্রেফতার হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হলেও শাসকদলের নেতা হওয়াতেই পুলিশ তাকে ধরছে না বলে ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির আভিযোগ ঠিক নয়। সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।
পুলিশ, পঞ্চায়েত ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী পবন কেডিয়া পঞ্চায়েতের কিছুটা জমি দখল করে পাঁচিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পাঁচিল সরানোর জন্য তাকে তিনদিনের সময় দেওয়া হয়। সেজন্য ব্যবসায়ীকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীর দাবি, তিনি নিজের জমিতেই পাঁচিল দিয়েছেন। নিজের জমির নথিপত্র নিয়ে সোমবার পঞ্চায়েতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তার আগেই রবিবার দুর্জয় দাস দলবল নিয়ে ওই হামলা চালিয়ে পাঁচিল ভেঙে দেন ও বাধা দেওয়ায় দুই মহিলাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।অভিযুক্ত যুব নেতা দুর্জয় দাসকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে ম্যাসেজ করা হলেও তিনি তার জবাব দেননি।
তবে হরিষ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান সাফ বলেন, সংগঠন বা তৃণমূল দল এটা করে নি। ওকে করতেও বলে নি। ফলে কেউ আইন ভাঙলে প্রশাসন আইনমাফিক ব্যবস্থা নিবে। আর সংগঠনের তরফেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, থানার অদূরেই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সক্রিয় হলে এমন ঘটত না। বিষয়টি জেনেই পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। দুপুরে ভাঙচুর, মারধরের পর ফের সন্ধেবেলাও বাড়িতে চড়াও হয়ে হুমকি দেওয়া হয়। ফের পুলিশকে জানাই। রাজনীতির রঙ না দেখে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছি। তারপরেও প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপ করা না হলে জেলাজুড়ে ব্যবসা বন্ধের পথে যেতে আমরা বাধ্য হব।
ব্যবসায়ী পবন কেডিয়া বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা পরিবার নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। অভিযোগ জানানোয় রাতেও ফের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই তৃণমূল বারবার বলছে দোষীদের পাশে দাঁড়াবে না দল কিন্তু যেহেতু এখনো অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেপ্তারি তাই স্বাভাবিক ভাবেই শাসক দলের যোগ উঠে আসছে, এখন অভিযুক্তদের কতদিনে গ্রেপ্তার করে পুলিশ সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে |