গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দোপাধ্যায়

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক:ঘোষণা করে দিয়েছিলেন আগেই। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে মেলাপ্রাঙ্গনে পৌঁছন তিনি। প্রথমে সোজা কপিলমুনি আশ্রমে যান।

    এ দিন মন্দির চত্বরও ঘুরে দেখেন মমতা। কথা বলেন আশ্রম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।আশ্রম এবং মন্দির সজ্জা নিয়ে কথা বলেন। এ বছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্রচুর মানুষ ভিড় করবেন বলে মনে করছে প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে কোভিড বিধি মেনে কী ভাবে দর্শনার্থীরা মন্দিরে পুজো দিতে পারেন, তা নিয়েও কথা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। আলাদা করে পুরোহিতদের সঙ্গেও কথা বলেন মমতা।

    মন্দির থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, “বিশ্বের অন্যতম সেরা মেলা গঙ্গাসাগর মেলা। বিশ্বের আর কোথাও এমন মেলা হয় না। একমাত্র জলপথেই এখানে আসা যায়। প্রতি বছর ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ এখানে আসেন। আমফান-সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাও ঘুরে দাঁড়িয়েছে গঙ্গাসাগর। সব তীর্থ বার বার, গঙ্গা সাগর এক বার। কিন্তু গঙ্গাসাগর এক বার এলে, মানুষ বার বার আসেন। আগে এখানে থাকার জায়গা ছিল না। এখন সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে মাস্ক পরুন। কোভিড বিধি মেনে চলুন।”

    একই সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগও তোলেন মমতা। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কেন্দ্র আর্থিক সাহায্য দেয় না বলে অভিযোগ করেন তিনি। মমতার বলেন, “কুম্ভমেলায় তো সব টাকা ভারত সরকার দেয়। এখানে কোনও টাকা দেয় না। কুম্ভমেলা সুয়োরানি হলে গঙ্গাসাগর কি দুয়োরানি? আমাদের কাজ আমরাই করে নেব। একটু সময় লাগবে।”

    তিন দিনের গঙ্গাসাগর সফরে গিয়েছেন মমতা। আগামী কাল জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক রয়েছে তাঁর। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতিপর্ব কেমন চলছে, কোভিড বিধি পালনে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করবেন।

    সোমবারই নবান্ন থেকে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করেন মমতা। করোনার কারণে গত দু’বছর সে ভাবে ভিড় না হলেও, এ বছর গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীরা ভিড় করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁদের নিরাপত্তায় একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান। ৬০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল থেকে মেলা প্রাঙ্কনে আরটিপিসিআর টেস্ট-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান।