মানসিক সুস্বাস্থ্যের অধিকার মানবিকতার সবচেয়ে জরুরি উদযাপনে মেডিকা গ্রুপ অফ হসপিটাল

পারিজাত মোল্লা,কলকাতা, ১০ই অক্টোবর,২০২৩ : মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট হসপিটাল চেন, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজন করেছিল একটি প্যানেল আলোচনার। এই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘মানসিক স্বাস্থ্য একটি বিশ্ব ব্যাপী মানবাধিকার’। এই প্যানেল আলোচনার শুরু হয় খ্যাতনামা সাইকোলজিস্ট ডঃ অনুত্তমা ব্যানার্জির ভাষণ দিয়ে যিনি বিষয়বস্তুর উপর বক্তব্য রাখেন। এছাড়া প্যানেলে ছিলেন বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব যেমন ডঃ আবীর মুখার্জি, সিনিয়র কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, ডঃ সৌরভ দাস, সিনিয়র কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, ডঃ অরিজিৎ দত্ত চৌধুরী, কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, ডঃ হর্ষ জৈন, সিনিয়র।কনসালটেন্ট – নিউরোসার্জেন এবং স্পাইন সার্জেন, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, ডঃ নিকোলা জুডিথ ফ্লীন, এমডি, বিভাগীয় প্রধান – পেডিয়াট্রিকস এবং নিউনেটোলজি, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, ডঃ অরুণাভ রায়, সিনিয়র কনসালটেন্ট, ইউনিট প্রধান, গাইনিকোলজি এবং অনকোলজি এবং ওমেন ক্যান্সার ইনিশিয়েটিভ এবং রোবটিক সার্জারি স্পেশালিস্ট এবং ট্রেনার, মেডিকা হসপিটাল এবং অরুণিমা দত্ত, সাইকো অনকোলজিস্ট, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল । যথেষ্ট সাবলীলতার সাথে এই আলোচনার সঞ্চালনা করেন সোহিনী সাহা, কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল।

    এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের থিম হল ‘মানসিক স্বাস্থ্য বিশ্বব্যাপী মানুষের একটি অধিকার’। বলাই বাহুল্য, এর তাৎপর্য হল মানুষের মধ্যে সচেতনতার দিকটি তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা। এর সাথে সাথে মানসিক ভালো থাকার দিকটি নিয়ে আরো তুলে ধরার দিকটি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুযায়ী, প্রতি আটজন মানুষের মধ্যে একজন মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকে। বর্তমানে টিনএজারদের মধ্যে এবং কমবয়সীদের মধ্যে দেখা যায় এই সমস্যায় সম্মুখীন হতে। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা এবং মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে একতা তৈরি করা। এই দিন একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম তুলে ধরে সেই সব মানুষদের কাছে যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে করছেন। এছাড়া এই প্ল্যাটফর্ম সাহায্য করে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দিক, হু রিপোর্ট অনুসারে।
    আলোচনার শুরুতে ডঃ অনুত্তমা ব্যানার্জি, কনসালটেন্ট সাইকোলজিস্ট, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল বলেন,” মানসিক স্বাস্থ্য এমন একটি দিক যা সেই মানুষের কাছে প্রায়োরিটি বা গুরুত্ব পায় যিনি সেই বিষয়টির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বা অভিজ্ঞতা হয়েছে। এরকম হতেই পারে যে কোন মানুষ তার উপর দায়িত্ব দেওয়া কোন কাজ বা কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করছে, কিন্তু এরপরেও অখুশি থাকছে। জীবন মনে হতে পারে অর্থহীন। এখানে খুবই জরুরি হল বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা এবং প্রফেশনালদের সাহায্য নেওয়া। এছাড়া খুব প্রয়োজন হল একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা যারা সংবেদনশীলতার সাথে পাশে থাকবে।”
    আবীর মুখার্জি, সিনিয়র কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল,” রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের উপর কনভেনশন ২০০৭ এর প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতা আমাদের সমাজকে আরো বেশি ইনক্লুসিভ হওয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এই প্রসঙ্গে মাথায় রাখতে হবে যে আরপিডব্লিউডি অ্যাক্ট ২০১৬ এবং মেন্টাল হেলথ কেয়ার অ্যাক্ট ২০১৭ খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ যা ইউএনসিএরপিডির অনুসারে চলার ক্ষেত্রে খুব দরকারি। তবে একজন কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে বলতে পারি যে উন্নতির অনেক জায়গা রয়েছে এখনও। মেন্টাল হেলথ কেয়ার অ্যাক্ট একদিকে রোগীদের প্রতি বৈষম্য যেমন কমাতে সাহায্য করে, আবার অন্য দিকে তাদের অধিকারের দিকটি তুলে ধরে। তবে প্রাথমিক ভাবে এটি হসপিটালে চিকিৎসার দিকে জোর দেয়, যে কারণে কমিউনিটি কেয়ারের ক্ষেত্রে কিছু গ্যাপ থেকেই যায়। এখানে মাথায় রাখতে হবে যে অনেক ক্ষেত্রেই কেয়ার বা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম যা অনেক সময় বলা হয়ে থাকে না। বিশেষ করে ভারতের ক্ষেত্রে, অ্যাডভান্সড ডিরেক্টিভ এবং নমিনাল রিপ্রেজেন্টটেটিভ এর মত কনসেপ্ট শুনতে বা বলতে ভালো লাগলেও বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে অনেক বাধাপ্রাপ্ত হয়। এছাড়া মানসিক সমস্যা এবং মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র নিয়েও অনেক কিছু স্পষ্ট হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আলাদা আলাদা করে মানুষের নিজের ক্ষমতা বা অধিকার এবং বিপদের দিকটা ভেবে দেখার দিক, বিশেষ করে কতটা সক্ষমতা রয়েছে, সেটা খুব দরকারী একটি দিক। তবে ভালোর মধ্যে একটি দিক হল যে আর পি ডব্লিউ ডি অ্যাক্ট আরো বড় আকারে ছড়ানোর ফলে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার, লার্নিং ডিসএবিলিটি, বেঞ্চমার্ক ডিসএবিলিটির মত দিক সামনে এসেছে এবং অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার ফলে বৈষম্যহীন সমতা সহ সমাজের দিকে আরও অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা যেভাবে এই জটিল দিকগুলো দেখি, আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে সেই সমস্ত মানুষ যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অধিকার যেন খর্ব না হয়।”
    এই প্যানেল আলোচনার সময় ডঃ সৌরভ দাস আত্মহত্যাকে অপরাধের ঘেরাটোপ থেকে বার করে আনার জন্য আইনি সংস্কারের দিকটি তুলে ধরেছেন। তার মতে,” আত্মহত্যাকে অপরাধের ঘেরাটোপ থেকে বার করে আনার মূল লক্ষ্য হল মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাকে বাস্তবের মাটিতে দেখা যারা কোন এক সংকটে এরকম চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভেবেছেন।অপরাধের আওতা থেকে বেরিয়ে আসার দিকটি একটি পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হবে যেখানে মুক্ত আলোচনা হবে এবং আগে থেকে বিষয়টি আটকানো যেতে পারে। এটি বাস্তব হলে যে কোন মানুষ কোন ভয় ভীতি ছাড়া সাহায্য প্রার্থী হতে পারেন এরকম পরিস্থিতিতে। বলাই বাহুল্য, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি একটি জরুরী মাইলস্টোন এবং আত্মহত্যার চিন্তা বা ভাবনা কেন্দ্রিক দিক থেকে লজ্জা হওয়ার দিকটি দূর হতে পারে। যেই সমস্ত মানুষ কোন ভাবে আত্মহত্যা করতে গিয়েছেন আগে, তাদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতা এবং সহমর্মিতার সাথে চিকিৎসার দিকটি ভীষণ দরকারী। একটি গঠনমূলক ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে যেখানে সাইকিয়াট্রিক মূল্যায়নের সাথে সাইকোথেরাপি এবং যেখানে প্রয়োজন মেডিকেশন ইমোশনাল ডিস্ট্রেস কাটানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে। এছাড়া বন্ধু বান্ধব এবং পরিবারের সাথে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার খুব প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া নিয়মিত থেরাপি তো দরকার কিভাবে সামগ্রিক ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যেতে পারে। এমন একটি সমাজ গড়ে তোলার দরকার রয়েছে যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হবে, মানসিক ভাবে ভালো থাকা গুরুত্ব পাবে এবং যারা কোন কারণে মানসিক সমস্যার মুখোমুখি, তাদের কাছে আশার আলো দেখানো যেতে পারে। অপরাধের আওতা থেকে বেরিয়ে আসার দিকটি একটি জরুরী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যেতে পারে।”
    ডঃ অরিজিৎ দত্ত চৌধুরী গুরুত্ব দেন হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং তাদের পরিবারের মানুষদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি। তিনি বক্তব্য রাখেন,” আমরা বিভিন্ন রোগীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার দিকের পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখেছি যে অনেক রোগীই বিভিন্ন মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে না। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বিষয়টি তাদের নিজেদের কাছে এবং পরিবারের কাছেও পরিষ্কার হয় না। এর ফলে পুরোপুরি সেরে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। বর্তমানে প্রায়ই দেখা যায় যে পরিবারের লোক মানসিক সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক্তারি সাহায্য নিতে অনিচ্ছুক এবং এটির কারণ হল সচেতনতার অভাব। এই কারণেই আমি বিশ্বাস করি যে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পুরোদস্তুর পড়াশোনা থাকা একান্ত আবশ্যক। মানুষের শুধু জানলেই চলবে না এই অবস্থাগুলো সম্পর্কে, সাথে সাথে জানতে হবে চিকিৎসার কি কি পদ্ধতি ও উপায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই জ্ঞান বা জানা একটি শক্তিশালী পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে যা মানসিক ভাবে ভালো থাকার দিকটি তুলে ধরে এবং রোগীদের ক্ষেত্রে মানসিক সাহায্যের দিকটি নিশ্চিত করে।”
    এই আলোচনায় ডঃ হর্ষ জৈন বলেন,” আমরা বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে দেখি রোগীদের মধ্যে একাধিক মানসিক সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার, ডিপ্রেসন, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) এবং অ্যাডজাস্টমেন্ট নির্ভর কিছু ডিসঅর্ডার। আমি দেখেছি নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের যথেষ্ট সংযোগ রয়েছে। মাথায় রাখতে হবে যে মানুষের মন উন্মুক্ত। তাই শুধুমাত্র শারীরিক সক্ষমতা নয়, রোগীদের ইমোশনাল এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি গুরুত্বের সাথে দেখা কর্তব্য।”
    ডঃ নিকোলা জুডিথ ফ্লীন বলেন,” হু স্বাস্থ্য বিষয়টিকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ভালো থাকার দিক থেকে দেখে।আমরা যখনই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবি, তখনই দুটি ছবি আমাদের কাছে উঠে আছে যেগুলো একদম বিপরীত – ডিপ্রেসন এবং ম্যানিয়াক বিহেভিয়ার। মানসিক স্বাস্থ্য মানে মানসিক সমস্যার অভাব এমন নয়। বর্তমানের পেডিয়াট্রিক জনসংখ্যায় মানসিক স্বাস্থ্যের ভীষণ গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করে। শিশুদের মধ্যে মানসিক সমস্যার দিকটি খুব বড় চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে শিশুদের শেখা, ব্যবহার এবং স্ট্রেস, ভয় ও দুশ্চিন্তার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। ভারতের মেন্টাল হেলথ পলিসির লক্ষ্য হল মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা এবং প্রত্যেকের মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সার্ভিসের দিকটি সুনিশ্চিত করা। যেই সমস্ত মানুষের মানসিক অসুস্থতা থাকে বা চিকিৎসা চলছে, তাদের মানবিকতার সাথে চিকিৎসা করতে হবে এবং সকল মানুষকে শ্রদ্ধা করতে হবে, কোন রকম বৈষম্য ছাড়া।”
    ডঃ অরুণাভ রায় বলেন,” মহিলাদের ক্যান্সার হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি যে লড়াইটা শুধুমাত্র শারীরিক নয়। আমাদের গাইনিকোলজিক্যাল ক্যান্সার রোগীদের লড়াই কুর্নিশ জানানোর মত, তবে আমরা কোন ভাবেই যেন ভেতরে ভেতরে যে নিঃশব্দ লড়াই করার চেষ্টা করে চলেছে তা এড়িয়ে না যাই। তাদের শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা যতটা জরুরি, মানসিক ভাবে সুস্থ থাকাও ততটাই। আমি এই সব মহিলাদের মানসিক জোর এবং স্থৈর্য্য দেখেছি যা ভাবাই যায় না। তবে এটি বাস্তব যে এর সাথে সাথে চিন্তা ও ভয়ের দিকটিও চোখে পড়েছে। আমরা যারা কেয়ারগিভার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত, মাথায় রাখতে হবে যে শুধুমাত্র বিশ্বমানের চিকিৎসা প্রদান নয়, এর সাথে মানসিক ভাবে সাহায্য করাও দরকার যা এই সংবেদনশীল জার্নির মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য তৈরি করে।ক্যান্সার রোগীদের যেই মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সমস্যা বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় সেটা বোঝা এবং কিভাবে তা যুঝতে হবে সেটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা সর্বাঙ্গীন ভাবে কারোর হোলিস্টিক হিলিং এর দিকটি পরিষেবা স্তরে দিতে পারি, তাহলে শরীর এবং মন উভয়েই ভালো থাকবে।”
    সবশেষে, এই আলোচনার সঞ্চালক সোহিনী সাহা বলেন,” মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কারোর সাহায্য নেওয়া কোন দুর্বলতার লক্ষণ নয়, বরং সবলতার লক্ষণ। কোন সাইকিয়াট্রিস্ট বা সাইকোলজিস্ট এর সাহায্য প্রার্থনা কখন করতে হবে সেটা বোঝা দরকার, বিশেষ করে মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য। একজন সাইকোলজিস্ট কোন মানুষকে গাইড করার সাথে সাথে সাহায্য করতে পারেন জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে। একজন সাইকিয়াট্রিষ্ট প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে পারেন যখন পথ্যের প্রয়োজন পড়ে কোন মানুষের। যেই রকম ভাবে আমরা আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে এই রকম প্রফেশনালদের সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন যাতে আমাদের মনের পরিচর্যা নেওয়া সম্ভব হয় প্রয়োজনে এবং সুস্বাস্থ্য এবং আনন্দের জীবন কাটাতে সাহায্য করবে। মনে রাখতে শারীরিক ভাবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে ভেতরে মানসিক ভাবে সুস্বাস্থ্য থাকা অত্যন্ত জরুরি। বলাই বাহুল্য, বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেরই সেরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে আমরা দায়বদ্ধ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এবং অবশ্য ই মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও, যা আমাদের সামগ্রিক ভাবে হোলিস্টিক স্বাস্থ্য পরিষেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়।”