“ডাকো কেনো” নামে পরিচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আব্দুল্লাহর গল্প

নিউজ ডেস্ক: তিনি তার প্রতিটি কন্টেন্ট ও কাজের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দর্শকের মুখে হাসি ও আনন্দ এনে চলেছেন। “ডাকো কেনো” পেইজটি আবদুল্লাহর যাত্রাটি বেশ আকর্ষণীয় কারণ, ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাধারণ একজন ছাত্র ছিলেন।

    আবদুল্লাহর যাত্রা শুরু হয়েছিলো তার বন্ধুদের জন্মদিনের ভিডিও, তার বন্ধু চক্র সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের মজার ভিডিও তৈরি করে। তারপরে তার বন্ধুদের এবং পারিপার্শ্বিকতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তার মধ্যে একটা আলাদা অনূভুতি কাজ করে। তারপর থেকেই সে নিয়মিত মজার মজার কন্টেন্ট আপলোড করতে থাকে। এতে আবদুল্লাহ খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কন্টেন্ট নির্মাতাদের একজন হয়ে ওঠেন।

    একটি প্রেস রিলিজ পড়ে জানতে পারি, তার দ্রুত উত্থান আর বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার অর্জনের পদ্ধতি অবলম্বন করার চেয়ে তার বেশি মনোযোগ ছিল রুচিশীল এবং মানসম্মত হাস্যরসাত্মক কন্টেন্ট তৈরি করাতে, এবং তার বিশ্বাস ছিল এটা করতে পারলে তার অনুসারীর অভাব হবেনা। তিনি নিজেই তার সব কাজ করেছেন এবং তার ফেসবুক পেজ বা বিষয়বস্তু সম্পাদনায় সাহায্য করার জন্য কাউকে নিয়োগ করেননি। পুরোটাই তার একান্তে কঠোর পরিশ্রম এবং সংকল্পের ফল।

    আবদুল্লাহর জন্ম কুমিল্লা জেলায় ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। তিনি নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শেষ করে, বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাঠদান শেষ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভিডিও তৈরি করা শুরু করেন। কিন্তু কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২২ জুন, ২০২২ থেকে।
    তার প্রাথমিক বিষয়বস্তু বেশ সহজবোধ্য, দৈনন্দিন জীবন এবং কুমিল্লার পরিবার-ভিত্তিক সংস্কৃতিকে স্থানীয় ভাষায় চিত্রিত করে।

    তিনি ইতিমধ্যে “কাশেম,” “সাদেক,” “জানে আলম” আরও বেশ কিছু চরিত্র তৈরি করার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। অবশ্য তার “ভুত সিরিজ” মূলত মিডিয়ায় তার একটা ভিন্নধারার অনুসারী তৈরি করেছিল।

    এটি কেবল তার নিয়মিত দর্শকদের নয়, নুহাশ হুমায়ুনের মতো সেলিব্রিটিদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।
    বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে, তিনি প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটক-এর মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে তার কাজ প্রসারিত করেছিলেন।
    তার ব্যতিক্রমী বিষয়বস্তুর জন্য, তার ইউটিউব চ্যানেল ইতিমধ্যেই ৯০ হাজার এরও বেশি সাবস্ক্রাইবার সংগ্রহ করেছে, এবং তিনি আশা করছেন মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ১ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার গ্রাহকের মাইলফলক ছুঁয়ে যাবেন৷