নিম্নচাপে খোলাপচা ও গোড়াপচা রোগ ভাবাচ্ছে ধান চাষিদের

আজিজুর রহমান, গলসি :  বর্তমানে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। যার ফলে ধান চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গলসির চাষিরা। তাদের দাবী এই বৃষ্টির জন্য ধান গাছে রোগ ও পোকামাকড়েpর উপদ্রব বেড়ে গেছে। এরফলে ধান গাছে গোড়া ও খোলা পচা রোগের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তারা বলেন, কয়েকদিন ধরে সেইভাবে রোদ না ওঠার জন্য ধানের ফলনে প্রভাব পরবে। গলসির পুরসা গ্রামের চাষি গুলজার সেখ বলেন, আমাদের মাঠের পাশ দিয়ে ডিভিসির সেচ ক্যানেল বয়ে গেছে। সেটাকে নির্ভর করেই চাষ হয়। এবারে সময়ে বৃষ্টির না হওয়ায় দেরিতে চাষ শুরু হয়ছে। এখন ধানের গাছের ভিতরে শীষ তৈরী হচ্ছে। তাই এই সময় নিম্নচাপের বৃষ্টি চাষিদের জন্য ক্ষতিকারক। সারাদিন মেঘলা আবহাওয়ার জেরে রোগ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। এখন না বোঝা গেলেও কয়েকদিনের মধ্যে তা বোঝা যাবে। তার দাবী এই আবহাওয়াতে গোড়াপচা ও খোলপচা রোগের আক্রমণ হবার ভয় বেশি। আর এই রোগ হলে জমিতে ধানের ফলন একদম কমে যাবে। বাহাদুর মাহুলী নামে এক ভাগ চাষি বলেন, এবারে বিঘাপ্রতি চার বস্তা হিসাবে তিন বিঘা জমি চাষ করেছি। এখনও ধান গাছের গোড়ায় শীষের কাঠি তৈরি হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই গাছ থেকে শীষ বের হবে। তাই এইসময় গাছের যত্ন নিতে হয়। তবে নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে জমিতে পোকার উপদ্রব বেড়ে গেছে। দুচার দিনের মধ্যে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। কিন্তু রোদ না উঠায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই চিন্তায় পরে গেছি। আবহাওয়া এমন চললে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে। জেলা কৃষি আধিকারিক, আশীষ বারুই বলেন, এই বৃষ্টিতে গোড়াপচা খোলাপচার আশঙ্কা তেমন নেই। ধান গাছের গোড়ায় জল জমেলে এই রোগ হয়। তবে এমন হলে চাষের জমির জল নিস্কাশন করতে হবে। তাছাড়া চাষিদের নিয়মিত মাঠে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। জমিতে যদি পোকার আক্রমণ হয় তবেই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। রোগ পোকা দমন সহ যে কোন কৃষি বিষয়ে জেলা বা স্থানীয় কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে সবরকম পরামর্শ পাওয়া যাবে।