ভবানীপুর উপনির্বাচনে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ প্রিয়াঙ্কা তিবরেওয়ালের

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল বিপুল ভোটে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। হারের পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের।

    তিনি বলেন, “মানুষকে যদি ভোট দিতে দিত তাহলে কী ফলাফল হত সেটা আমরা, আপনারা সকলেই জানতেন।  ৮২ ওয়ার্ডের চিত্র যদি দেখা যায় তাহলে বোঝা যাবে যে পরিমাণে ওখানে ভোট পড়েছে তা পুরো ছাপ্পা ভোট। ফেক ভোটিং হয়েছে। আমি নিজেই তো ধরেছিলাম অনেককে সেখানে। সংবাদমাধ্যমের সামনেই সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। আমি ১০১ শতাংশ নিশ্চিত ছাপ্পা ভোটের বিষয়ে। তবে সংগঠনেও বেশ কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। সেটা স্বীকার করছি। আরও অনেকটা কাজ করতে হবে।”

    এদিকে, ভবানীপুরে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জয়ী তৃণমূল নেত্রী। ভবানীপুরে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    জিতলেন ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে। ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একুশের বিধানসভা ভোটের দ্বিগুণ ব্যবধানে জয়। ২০১১-র উপনির্বাচনের জয়ের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গেলেন মমতা। ২০১১-র উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৪ হাজার ২১৩। ভবানীপুরের ৭টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    রেকর্ড ভোটে জিতে ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কোনও ওয়ার্ডে এবার আমরা হারিনি। ভবানীপুরে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপির প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তৃতীয় সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস। জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, ভবানীপুরের সব মা-ভাই-বোনেদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কোনও ওয়ার্ডে এবার আমরা হারিনি। আগে যখন এখানে লড়েছি, এক-দুটো ওয়ার্ডে কম ভোট পেয়েছিলাম। ভবানীপুরে অবাঙালি ভোটাররাও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন।

    ফলপ্রকাশের পর আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সামনে আমাদের ৪টে উপনির্বাচন আছে। আমি আজকের এই শুভ দিনে সেই ৪ টে কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে চাই। শান্তিপুরে আমাদের উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ব্রজকিশোর গোস্বামী। দিনহাটা থেকে দাঁড়াবেন উদয়ন গুহ। খড়দা থেকে দাঁড়াবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মানুষের কাছে আমরা আবেদন করব এবার ভোটটা আমাদের দিন। বিজেপিতে ভোট দিয়ে কোনও লাভ নেই।