|
---|
নতুন গতি প্রতিবেদক : WBSEDCL বিদ্যুৎ কোম্পানির কাছে তার গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছে প্রতি মাসের মিটার রিডিং নিতে হবে এবং সেই অনুসারে বিল পাঠাতে হবে। কিন্তু কর্মী সংখ্যা কম ও করোনার অজুহাতে তিন মাসের অধিক কখনও কখনও ৬ মাস, ৮ মাসে একবার মিটার রিডিং নিচ্ছে। এবং মাঝে মাঝে একটা আন্দাজ বিল গ্রাহকের ফোনে ম্যাসেজ করছে। যতটা বিল নেওয়ার কথা ততটা নিচ্ছে না। প্রতিমাসের বাকি ইউনিট যখন রিডিং নিতে আসছে সেই মাসে বড়ো অংকের ইউনিট হয়ে যাচ্ছে ফলে স্ল্যাব পরিবর্তন হয়ে বিদ্যুতের অগ্নিমূল্য হয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকের বিল কোন কোন সময় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রতি মাসের বিল প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট সময়ের বিল নির্দিষ্ট সময়ে দিতে হতো, তাহলে গ্রাহককে এই দ্বিগুণ বিল দিতে হতো না।
যদি তিন মাসের মিটার রিডিং এর যোগফল তিন দিয়ে ভাগ করে তারপর সেই ভাগফল নির্দিষ্ট স্ল্যাব অনুসারে বিল পাঠাতো তাহলেও খানিকটা ঠিক ছিল। কিন্তু বিদ্যুত কোম্পানি গুলো সেটা করছে না। তিন মাস বা তার বেশি সময়ের মিটার রিডিং এর যোগফল প্রথমে প্রতিটি স্ল্যাব অনুসারে ভাগ করে যে টাকার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে সেই টাকাকে তিন দিয়ে ভাগ করে গ্রাহকদের থেকে লুট করছে।
বিষয়টা উদাহরণ দিয়ে বুঝলে আরও জলের মতো পরিস্কার হবে। WBSEDCL এর বর্তমানে বিদ্যুতের দর হচ্ছে প্রথম 102ইউনিটের জন্য 5.30টাকা,পরবর্তী 78 ইউনিটের জন্য 5.97টাকা,তার পরবর্তী 120ইউনিটের জন্য 6.97টাকা,তার পরবর্তী 300ইউনিটের জন্য 7.31টাকা,তার পরবর্তী 300ইউনিটের জন্য 7.58টাকা,তার পরবর্তী 300ইউনিটের জন্য 8.99টাকা এভাবে বাড়তে থাকে।
একটি গ্রাহকের বাড়িতে শেষ বার মিটার রিডিং নিয়েছিল 26.02.2020তারিখে তখন মিটার ছিল 15295 ইউনিট। তারপর 1.06.2020তে মিটার রিডিং দেখা যায় 16449ইউনিট।অতএব তিনমাসে (16449-15295)=1154ইউনিট বিদ্যুত ব্যবহার করেছে। আইন অনুসারে 1154/3=385(প্রায়)ইউনিট প্রতি মাসে ব্যবহার করা হয়েছে। এবার যদি আপনি উপরিউল্লেখিত স্ল্যাব অনুসারে টাকার পরিমাণ দেখেন তাহলে আমরা দেখতে পাবো প্রথম 102ইউনিটের জন্য ([email protected])=540.60টাকা, পরবর্তী [email protected]=465.66টাকা, পরবর্তী [email protected]=836.40টাকা, বাকী[email protected]=621.33টাকা।অতএব আপনি যদি যোগ করে দেন তাহলে একমাসে 385ইউনিট এর জন্য আপনাকে বর্তমান স্ল্যাব অনুসারে (540.60+465.66+836.40+621.33)=2453.99টাকা প্রদান করতে হবে এবং সেই অনুসারে তিনমাসে 7361.97টাকা দেওয়া উচিত।
কিন্তু বিদ্যুত কোম্পানি গুলো সেটা না করে 1154ইউনিটকে একটি বিল হিসাবে দেখিয়ে উপরিউল্লেথিত স্ল্যাব অনুসারে মোট9611টাকা আদায় করছে এবং প্রতি মাসে 3242টাকা করে নিচ্ছে। মানে প্রতি মাসে 789.01টাকা বেশী নিচ্ছে মানে তিন মাসে 2367.03টাকা বেশী নিচ্ছে। এই ডাকাতি কবে বন্ধ হবে। কারা বন্ধ করবে? বিদ্যুৎ কোম্পানির চালাকি আর কারসাজিতে গ্রাম বাংলার মানুষকে গুনতে হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ ইলেকট্রিক বিল।