সুন্দরবনে জলে ডুবে শিশু মৃত্যু রুখতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা এলেন সুন্দরবনে

হাসান লস্কর, সুন্দরবন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: কুলতলী ব্লকের গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী এবং মৈপিঠ বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চাযেত এলকার সর্ববৃহৎ সেচ্ছাসেবী সংস্থা সিনির পরিচালিত দুটি কবচ সেন্টার – দি জর্জ ইনস্টিটিউট অফ গ্লোবাল হেলথ ইউ কে থেকে মার্গি প্যাডেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে জুগনুর জুগনুর ও সংস্থার অন্যান্য ভারতীয় কর্মীরা পরিদর্শন করেন। সিনির তরফ থেকে ড্রাউনিং প্রোগ্রামের ইনচার্জ ও ন্যাশানাল অ্যাডভোকেসি অফিসার সুজয় রায় ও অন্যান্য এই মহান কর্মযজ্ঞের সাথে যুক্ত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জলে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে ছ’মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে প্রথম এই উদ্যোগ। সকালে কাজের ব্যস্ততার সময় বহু শিশু বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে গিয়ে অকালে প্রাণ হারায়। কিন্তু এই কবচ সেন্টার গুলো বর্তমানে কুড়িটি করে শিশুর দায়িত্ব নিয়েছে। পরিবারের ব্যস্ততার সময় শিশুগুলো এই সেন্টার গুলোতে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে প্রাক শিক্ষা, পুষ্টি পরিষেবা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাচ্ছে। পরিদর্শক জুগনুর জানান, বাংলাদেশে গত চোদ্দ বছরে আঁচল সেন্টার গুলো যেই পর্যায় কাজ করছে, সুন্দরবনের প্রান্ত এলাকায় কবচ সেন্টার গুলো মাত্র তিন মাসে সেই পরিষেবা দিচ্ছে দেখে উনি ভীষণ খুশি এবং সারা ভারতে কবচ চালু করা বিষয় উনি আশ্বাস দেন। এরপর পরিদর্শকরা কুলতলি ব্লকের জাল দিয়ে ঘিরে রাখা পুকুর পরিদর্শন করেন এবং গত ছয় মাসে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা না ঘটায় খুশি প্রকাশ করেন পরিদর্শনের শেষ লগ্নে পরিদর্শকরা কুলতলি বিডিও অফিসে সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ারীদের “জলে ডুবে যাওয়ার প্রতিরোধে প্রাথমিক উদ্ধার ও সি পি আর প্রদানের বিষয় প্রশিক্ষণ” পরিদর্শন করেন এবং বর্তমান বিডিও সুচন্দন বৈদ্য মহাশয়ের সঙ্গে দেখা করেন এবং কুলতলির উন্নয়নে সিনির সাথে একসাথে কাজ করার আশ্বাস দেন। সিনির পক্ষ থেকে ড্রউনিং প্রোগ্রামের ইনচার্জ ও ন্যাশানাল অ্যাডভোকেসি অফিসার সুজয় রায় জানান, এই উদ্যোগ শিশু মৃত্যু কমিয়ে আনবে এবং সম্পূর্ণ ভারতে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয় উনি আশাবাদী।