সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৎস্যজীবীদের মৃত্যু মিছিল লেগেই আছে

হাসান লস্কর, সুন্দরবন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: ২০২৪ সালে সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয় গোসাবার সাতজেলিয়ার বাসিন্দার দীপক মন্ডল ও জগদীশ মন্ডল, কুলতলির গোপালগঞ্জ অঞ্চলের গায়েনের চকের বাসিন্দার শ্রীবাস হালদার, কুলতলির কাঁটামারির মৎস্যজীবী প্রদীপ সর্দার। এছাড়া চুনিলাল সরদার সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর যখম। বিশেষ করে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবার গুলি যারা সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল, এই সমস্ত পরিবারের সদস্যদের যেতে হয় সুন্দরবনের মাছ কাঁকড়া সহ মধু সংগ্রহ করতে জঙ্গলে। এর ফলে তাদেরকে দিতে হচ্ছে প্রাণ তার ফলে পরিবারের নেমে আসছে দুঃখের কালো মেঘ।সুন্দরবনে মৎসজিবিদের বাঘের আক্রমণে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত বছরের শুরুতেই মাত্র ৪৬ দিনে চারজন ১২/২/২৪ তারিখ সকালে কুলতলির গোপালগঞ্জ গায়েনের চকের শ্রীদাম সরদার বয়স-৫৪ পিতা প্রভাস সরদার ১৫ তারিখে বৃহস্পতিবার সকালে কুলতলির কাঁটামারির চুনিলাল পিতা ননীলাল সর্দার ও শুক্রবার দুপুরে প্রদীপ সর্দার বয়স-৪৫ পিতা কালাচাঁদ সর্দার তিনজন গত চারদিন আগে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়ে নবেগি খালে বাঘের আক্রমণে নিহত হয় দুই বাচ্চা ও স্ত্রী বাবা,মাকে রেখে চলে গেলেন। চারদিনে কুলতলির তিনজন আক্রান্ত অথচ কোনো প্রশাসন বনদপ্তর এর কর্মকর্তা পরিবারের পাশে কিম্বা দেখা বা প্রতিশ্রুতি নেই। এপিডিআর প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকবে এমনই জানায়। তাদের দাবি

    ১/ পরিবারের ক্ষতি পূরন দিতে হবে কোন টালবাহানা চলবে না ২/ বাচ্চাদের পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে ৩/ পরিবারের একজনের সরকারি চাকরি দেয়ার দাবী জানালেন তারা।