স্যার সৈয়দ অ্যাওয়ার্ড পেলেন শিক্ষাব্রতী কাজী মহঃ ইয়াসীন

সেখ সামসুদ্দিন : কলকাতাস্থিত ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান দ্য মুসলিম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের জন্ম দিবসে বাংলায় শিক্ষা প্রসারে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য মামূন ন্যাশনাল স্কুলের সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ইয়াসীন, কলকাতা এডুকেশনাল ট্রাস্ট (কেসিটি) ও মিল্লি এডুকেশনাল অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন হায়দারকে ‘স্যার সৈয়দ আহমেদ খান এ্যাওয়ার্ড অব এক্সেলেন্স’ পুরষ্কারে সম্মানিত করা হয়। ১৭ অক্টোবর ইনস্টিটিউটের কাদের নওয়াজ সভাগৃহে অনুষ্ঠিত এই সভায় দ্য ইমপ্যাক্ট অব স্যার সৈয়দ আহমেদ খানস্ মিশন এ্যান্ড ভিশন অন মুসলিম এডুকেশন শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কলকাতার ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ডিরেক্টর অধ্যাপক অচিন চক্রবর্তী বলেন, স্যার সৈয়দ অনুভব করেছিলেন, আধুনিক শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। সেইজন্য তিনি ধর্মীয় শিক্ষা ও অন্য যেকোনো শিক্ষার সঙ্গে ইংরাজি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। প্রধান অতিথি লোকায়ুক্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায় বলেন, বাংলায় যখন নব জাগরণ হচ্ছে আর ইওরোপে শিল্প বিপ্লব। তখন স্যার সৈয়দ গরিব মুসলমানদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা বিশেষ করে ইংরাজি শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন। স্যার সৈয়দ শিক্ষার কথা বলতে গিয়ে ইসলামে যেসব শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, সেই সব শিক্ষার ওপর প্রাধান্য দিতে বলেছিলেন। লোকায়ুক্ত বলেন, কেউ সঠিক ভাবে ইসলাম মেনে চললে তার চরিত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা যাবে না। পুরষ্কার গ্রহণ করে শিক্ষাব্রতী কাজী মুহাম্মদ ইয়াসীন বলেন, স্যার সৈয়দ নামাঙ্কিত এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমি সম্মানিতবোধ করছি। তিনি বলেন, আমার পিতা গোলাম আহমাদ মোর্তজা যে কাজ করে গিয়েছেন, আমরা সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছি। এই সম্মান তারই প্রাপ্য। শিক্ষা ক্ষেত্রে স্যার সৈয়দের ভূমিকার কথা তিনি তুলে ধরেন। বক্তব্য রাখেন শাকিল আহমেদ আইএএস ও অন্যান্যরা। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান ইনস্টিটিউটের এ্যাসিট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি ড. নঈম আনিশ। সঞ্চালনা করেন এডুকেশনাল সাব কমিটির সেক্রেটারি মুহাম্মদ শামশুস সালেহীন ।