|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : রক্ত দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগে সমাজকর্মীর মারধর ও হেনস্থার ঘটনা নদিয়া জেলায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল বিধায়কের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা চাউর হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি হন কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুউদ্দিন আহমেদের দেহরক্ষীর বাবা। প্রয়োজন হয় রক্তের। নদিয়ার সমাজকর্মী ওসমান গনির কাছে রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে ফোন আসে। রক্ত জোগাড় করতে প্রায় ঘণ্টা তিনেক সময় লাগে। আর এতেই খেপে যান বিধায়কের দেহরক্ষী সুরমান শেখ।সমাজকর্মী ওসমান গনি শেখকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিধায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদের নাম করে ডেকে এনে ওই সমাজকর্মীকে মারধর করে বিধায়কের দেহরক্ষী, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার খবর পেয়ে জড়ো হয় সমাজকর্মীর অসংখ্য সমর্থক। তাঁরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এসে বিক্ষোভ শুরু করে।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে আসে কালীগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তাঁর দেহরক্ষী সুরমান শেখের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানার মীরা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত সমাজকর্মী।আক্রান্ত সমাজকর্মী বলেন, ‘রক্তের প্রয়োজনের কথা জানিয়েছে আমাকে ফোন করেছিলেন কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুউদ্দিন আহমেদের দেহরক্ষী। আমি তাঁকে রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু রক্ত জোগাড় করতে খানিক দেরি হয়ে যাওয়ায় সুরমান শেখ আমাকে ফোন করে হুমকি দেয় ও গালিগালাজ করে। পরবর্তীকালে বিধায়কের নাম করে আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। ওই ধাবার সামনে ডেকে ক্রমাগত চড়-থাপ্পড় মারা হয়। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। সাহায্য করতে গিয়ে আমাকে মার খেতে হল। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।ওসামানের এক অনুগামী বলেন, ‘এই ঘটনা ভাবা যাচ্ছে না। রক্ত চেয়েছিল, সামান্য দেরি হওয়ার কারণে ওসমানকে মারধর করা হয়েছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখাই। বিধায়কের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে মারধরের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা চাই অভিযুক্তকে যাতে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করা হয়।’