১০০ দিনের কাজের টাকা প্রসঙ্গে হাকিকুল ইসলামের দেওয়া বিবৃতির মতোই ব্যখ্যা শোনালো সুপ্রিম কোর্ট

আলম সেখ, নতুন গতি: ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য থেকে কেন্দ্র, ৭৫ লক্ষ ২১ হাজার ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকের সহ কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার বকেয়া ১৫ হাজার কোটি টাকা দাবি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হাজির হয় দিল্লির রাজারহাটে। শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ, একই দিনে ১০০ দিনের কাজের সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতায় বিধানসভা চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব, প্রতিনিধিত্ব করেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী, তিনি বলেন – তৃণমূলের চোররা দিল্লি গিয়েছে, আমরা এই চুরির সিবিআই তদন্ত চাই। দিল্লী পুলিশের দ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান বিক্ষোভকে উচ্ছেদ করে আটক করা হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে তারই জেরে সম্পূর্ণ বাংলায় আন্দোলনের ডাক দেয় তৃণমূল। অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয় রাজভবনের চত্বরে।

    রাজ্য সরকার ও বিজেপির মধ্যে চলতে থাকা সংঘর্ষের প্রভাব কেনো নিরীহ অসহায় ১০০ দিনের কাজ করা শ্রমিকদের উপর পড়বে এই বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন এসডিপিআই-এর রাজ্যে সাধারণ সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন চুরি যারা করেছে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হোক, যেই সমস্ত নেতারা ১০০ দিনের কাজের হিসেব দিতে পারেনি তারেকের জেলে ঢোকানো হোক কিন্তু সত্যি যারা কাজ করেছে, পরিশ্রম করেছে, গরিব অসহায় দরিদ্র পরিবার তাদের টাকা কেনো আটকে রাখবে কেন্দ্র সরকার?

    হাকিকুল ইসলামের দেওয়া বিবৃতির মতোই গতকাল সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারকে প্রশ্ন করলেন, প্রধান বিচারপতি বলেন – একশো দিনের প্রকল্পে এক হাজার জন শ্রমিকের কাজও যদি বৈধ হয়, তা হলে তাঁদের টাকা বকেয়া থাকবে কেন? উত্তরে কেন্দ্র সরকার জানান ২০২১-২২ এর হিসেবে দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য অসংখ্য ভুয়ো জব কার্ড পাওয়া গেছে তাই টাকা বন্ধ করা হয়েছে, জবাবে সুপ্রিম কোর্ট জানান “হয় তো অনেক পচা আপেল আছে, তার মধ্যে থেকে ভাল আপেল বেছে বার করতে হবে, কিন্তু এর ফলে নিরীহ মানুষজন যাতে পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত না হন, তা-ও দেখতে হবে।