|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : এবার যাদবপুর কাণ্ডের ছায়া কাকদ্বীপে।দুই সিনিয়র পড়ুয়ার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়া। এরকমই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। ঘটনায় পুলিশের কাছে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। জানা গেছে, কাকদ্বীপ সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরে পড়ত দশম শ্রেণীর ওই ছাত্র। মেধাবী বলেই পরিচিত ছিল। অভিযোগ, দুই সিনিয়র পড়ুয়া প্রায়ই তাঁকে মানসিক নির্যাতন করত। গত জুলাই মাসে অত্যাচার চরমে ওঠে। সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত প্রতিবাদ করে ওই পড়ুয়া। যার জন্য সিনিয়রদের রোষানলে পড়তে হয় তাঁকে। অভিযোগ, তাঁকে বাধ্য করা হয় সিনিয়রদের পা ধরে ক্ষমা চাইতে। যা ভিডিও করা হয় এবং পরে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। গত ১৬ জুলাই বাড়িতেই ওই ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রের বাবা জয়ন্ত ধলের অভিযোগ, ছেলে মারা যাওয়ার পর তাঁর মোবাইল ফোন ঘেঁটে জানতে পারেন কিছু সিনিয়র পড়ুয়া নিয়মিতভাবে তাঁর ছেলেকে নির্যাতন করত। এমনকী ছেলেকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেব বলেও ওই সিনিয়ররা হুমকি দিত বলে অভিযোগ করেন ছাত্রের বাবা। তাঁর দাবি, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। এদিকে, কাকদ্বীপ কাণ্ডে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসক এবং পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করল পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ। চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় জানিয়েছেন, ‘জেলাশাসক ও পুলিশের থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে।’