|
---|
আজিজুর রহমান, গলসি :- ভবিষ্যৎ কেডিট কার্ড প্রকল্পের বাস্তবিক রুপায়ন করতে আচমকা গলসির বিভিন্ন ব্যাংকে অভিযানে এলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক পুর্ণেন্দু মাঝি। তিনি বিভিন্ন ব্যংকে ঢুকে কথা বলেন প্রকল্পের উপভোক্তাদের সাথে। পরে ব্যাংক ম্যানজারদের কাছে গিয়ে আবদেনকারীদের লোনের খুঁটিনাটি বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। জেলা শাসক বলেন, আজকে ব্যাংক চলো কর্মসুচিতে জেলা জুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকে যাচ্ছি আমরা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী ১ লা এপ্রিল ভবিষ্যৎ কেডিট কার্ডের সুচনা করে বেকারদের স্বনির্ভর করার উদ্দ্যোগ নিয়েছেন। সেই কাজটা করতে আমরা দশদিন আগে আবেদন করেছিলাম যে উপভোক্তারা আজকে ব্যাংকে যাবে। ব্যাংক ম্যানেজাররা আমাদের সহযোগিতা করছেন। এখন প্রযন্ত গোটা জেলা থেকে ৬০০০ আবেদন পেয়েছি। আমরা টার্গেট নিয়েছি পুজোর আগে দুতিন হাজার জনের লোন অনুমোদন করবো।
বিডিও অফিস সুত্রে জানাগেছে, দুয়ারে সরকারে ভবিষ্যৎ কেডিট কার্ডে আবেদন করেছেন গলসি ১ ব্লকের ২৬০ জন ২ নং ব্লকের ১২০৯ জন উপভোক্তা। মাস গড়িয়ে গেলেও এখনও প্রযন্ত কেউ লোন পায়নি বলে অভিযোগ। লোনের দাবীতে প্লাকার্ড হাতে ব্যাংকে ব্যাংকে জড়ো হন গলসির ১ ও ২ নং ব্লকের অসংখ্য আবেদনকারী। উপভোক্তা সুবীর মাঝি বলেন, টোটো কিনতে লোন নেব। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও এখনও লোন দেয়নি ব্যাংক। তবে জেলা শাসক সাহেব কাগজ দেখে আজ আশ্বস্ত করে গেলেন। বিপ্রদাস পাল নামে এক যুবক বলেন, ছাগলের ফার্ম করার জন্য লোনের আবেদন করেছি। সব কাগজ ঠিক আছে। এখনও প্রযন্ত লোনের জন্য ডাকেনি। ধান্য ব্যবসায়ী সৌমেন ঘটন বলেন, সব কাগজ দিয়েছি তবুও কিছু হয়নি। আজ ডিএম স্যার এসেছেন। ওনাকে বলার পর তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
এদিকে কয়েকটি ব্যাংক সুত্রে জানা গেছে, বহু আবেদনকারীদের সব তথ্য সঠিক থাকলেও অনেকের ট্রেড লাইসেন্স নেই। যার জন্যই ব্যাংক লোন দিতে সক্ষম হয়নি। জেলাশাসকের সাথে সাথে দ্রুত লোন পাইয়ে দিতে উদ্দ্যোগ নিয়েছে গলসি ১ ও ২ নং ব্লক প্রশাসন। উপভোক্তাদের সুবিধার্থে গলসি ২ বিডিও সঞ্জীব সেন ব্যাংকে ভিতরে টেবিল বসিয়ে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে লোন পেতে সহযোগিতা করেন। সঞ্জীব বাবু জানিয়েছেন, আজ বিকাল প্রযন্ত ব্যাংক গুলি থেকে ১৫৭ জনের কাজ সম্পুর্ন করা হয়েছে। বাকি গুলি জেলাশাসকের নির্দেশ মতো করতে উদ্দ্যোগ নেবেন।