|
---|
বাবলু হাসান লস্কর কুলতলী : দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলীর জামতলা বাজার থেকে গতকাল আনুমানিক ২-৪০ নাগাদ কলকাতা বড়োবাজারে মালপত্র ক্রয় করার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীদের টাকা নিয়ে দুটি ট্রাক কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। জামতলা থেকে পাঁচ কিলোমিটার যাওয়ার পর ননী হালদারের মোড় এলাকায়- মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রাক দুই টিকে আটকায় ১০-১২ জন দুষ্কৃতীদল। আগ্নেয় অস্ত্র দেখিয়ে ও লঙ্কার গুঁড়া ছিটিয়ে চালকে আটকায়। দুষ্কৃতীদলের সদস্যরা অন্য আরেকটি ট্রাককে ও আটকায়। দুইটি গাড়ি চালকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকা। এবং ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে দুই চালককে । দুষ্কৃতীদের অস্ত্রের আঘাতে মাথা ফাটে অপর জনের কোমরে চোট লাগে। তারা চিকিৎসা করে জয়নগর কুলতলী গ্রামীন হাসপাতালে। পরে তারা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কুলতলী থানায়। সাথে সাথে কুলতলী থানার আইসি অর্ধেন্দু শেখর দে সরকার তদন্ত শুরু করেন। কুলতলী থানার এস আই দীপঙ্কর বিশ্বাসের নেতৃত্বে ছয় ডাকাত দলের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করে ও তাদের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষের অধিক টাকা উদ্ধার হয়। বাকি টাকা কি করল তারই সন্ধান চালাচ্ছে । তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ধারায় মামলা রুজু করেছে। পালের চকের বাসিন্দার ভূতনাথ নস্কর, চাঁদপুরের বাসিন্দার দেবু ও গোষ্ঠ নস্কর, জামতলার বাসিন্দার বিধান মণ্ডল ও রনজিত মন্ডল,৬ নম্বর জালাবেড়িয়ার বাসিন্দার সুশান্ত হালদার কে আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হয় এবং পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার দাবি জানায় কুলতলী থানার পুলিশ। এলাকায় এমনই ডাকাতির ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশেষ করে শারদীয়ার মুহূর্তে ব্যবসায়ীদের টাকা যাওয়া মাথায় হাত রামচন্দ্র মালি আতিয়ার রহমান লস্কর সহ একাধিক ব্যবসায়ীদের। এই মুহূর্তে তারা ব্যবসা করতে পারছে না। কবে মিলবে তাদের এই খোয়া যাওয়া টাকা এমনই দুশ্চিন্তায় জামতলা শশী মন্ডল হাটের ব্যবসায়ীরা