জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

মেদিনীপুর: আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বেআইনিভাবে জমি দখল করে নির্মাণের অভিযোগ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের রাঙামাটির বৈশাখী পল্লির ঘটনা ৷ লন্ডনবাসী সমীর দাসের অভিযোগ, তাঁর ছোট ভাই সুব্রত দাস বেআইনিভাবে তাঁদের পৈতৃক জমি বিক্রি করে দিয়েছেন স্থানীয় এক প্রোমোটারকে ৷ এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন সমীর দাস এবং তাঁর দুবাইবাসী আরেক ভাই শ্যামল দাস ৷ সেই মামলার ভিত্তিতে আদালত ওই জমিতে কোনওরকম নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ৷ সমীরবাবুর অভিযোগ, সেই নির্দেশ অমান্য করেই তাঁদের জমিতে নির্মাণকাজ চলছে ৷

    এ নিয়ে লন্ডন থেকে সমীর দাস জানিয়েছেন, তাঁরা তিন ভাই ৷ তিনি সমীর দাস ছাড়াও বাকি দু’জন শ্যামল দাস এবং সুব্রত দাস ৷ সমীর দাসের অভিযোগ, তাঁদের বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি হয় ৷ সেই সময় তিনি লন্ডনে এবং শ্যামল দাস দুবাইতে কর্মসূত্রে চলে যান ৷ অভিযোগ, ২০১৩ সালে ছোট ভাই সুব্রত দাস তাঁদের অনুমতি ছাড়া পৈতৃক জমি স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তথা প্রোমোটারের কাছে বিক্রি করে দেন ৷ যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে আদালতে মামলা করেন তাঁরা ৷ আদালত সেই সময় জমিটিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় ৷

    অভিযোগ, সম্প্রতি সমীর দাস এবং শ্যামল দাস দেশে ফিরে তাঁদের পৈতৃক জমি দেখতে যান ৷ সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং তাঁর লোকজন জমি দখল করে রেখেছে ৷ অভিযোগ সেখানে তাঁদের পুরনো বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং পাশাপাশি নতুন নির্মাণ শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ৷ যার পরে সমীর দাস মেদিনীপুর আদালতে মামলা করেন ৷ সেখানে বিচারক ১৪৪ ধারা জারি করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন ৷ অভিযোগ, সেই নির্দেশ মানেননি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুজয় মাইতি ৷ যা নিয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন সমীর দাস ৷

    সুজয় মাইতি সম্প্রতি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন ৷ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত ৷ সেই সঙ্গে ৩১ মার্চ বৈধ কাগজপত্র নিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয় আদালত ৷ কিন্তু, নির্মাণকাজ বন্ধ করেননি সুজয় মাইতি ৷ উল্টে তাঁদের বাড়ির ভিতরে থাকা লক্ষাধিক মূল্যের আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এ নিয়ে সুজয় মাইতির দাবি, তিনি বাড়িটি কিনেছেন ৷ যাঁর থেকে এই জমি কিনেছেন, তাঁর নামেই জমি রয়েছে ৷ সুজয়াবাবু নিজের নামে এখনও জমি নথিভুক্ত করাননি ৷ তবে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানবেন বলে জানিয়েছেন ৷