রায়দিঘিতে বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষকের উদ্যোগে স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম 

রায়দিঘি:নুরউদ্দিন:জীবনের সব বাধা কাটিয়ে দিনবদলের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বিশেষভাবে সক্ষম এক শিক্ষক। অর্ণব হালদার নামের ওই শিক্ষক নিজের মাইনের বেশ কিছু অংশ ব্যায় করে স্কুলেই গড়ে তুলেছেন ডিজিটাল ক্লাসরুম।

     

    তবে আর পাঁচটা শিক্ষককের মত অর্ণবের শিক্ষকতা করাটা সহজ ছিল না। ২০১৭ এর ফেব্রুয়ারি মাসে রায়মনিখাকি এফ পি স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়েন তিনি। তাঁকে স্কুলে যোগ দিতে দেবেন না অভিভাবকরা। তাঁর অপরাধ তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তি।

     

    অসহায় অবস্থায় ক্রমাগত বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তিনি পারবেন পড়াতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। এই ঘটনার কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে সভ্য সমাজে নিন্দার ঝড় ওঠে।

     

    তখন জেলাশাসক পিবি সেলিম সবরকম নিরাপত্তা দিয়ে স্কুলে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে অর্নব স্কুল বদল করে চলে আসেন চাপলা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে।

     

    সেখানে নিজের অর্থে স্কুলকে ডিজিটাল স্কুল হিসাবে গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে অর্নবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। যে শিক্ষককে নিয়ে এতদিন বিভিন্ন রকম কথা শুনিয়েছেন অনেকে, আজ তারাই ওই শিক্ষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

     

    ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিল অর্নব। অর্নবের রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস থাকায় হাঁটাচলার ক্ষমতা নেই, হাতেও জোর পাননা। এত কিছুর মধ্যেও মথুরাপুর ২ নং ব্লকের মধ্যে প্রথম ডিজিটাল ক্লাসরুম গড়ে তুলেছেন তিনি। অর্ণবের সেদিনের সেই বক্তব্যে আজও অনড় আছেন তিনি‌। তিনি জানিয়েছিলেন, হাঁটাচলা করতে পারিনা তো কি হয়েছে, আমার মগজই আমার হাতিয়ার। তাঁর স্বপ্ন তাঁর স্কুলটিকে শিশুবান্ধব হিসাবে গড়ে তিনি তুলবেন তিনি‌। আর সেই লক্ষ্যেই কাজ চালিয়ে যাবেন জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।

     

    নুরউদ্দিনের রিপোর্ট নতুন গতি!