অনাথ আশ্রমের শিশুদের সাথে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিল “জিও-গাইডেন্স” সমাজসেবী শিক্ষা সংগঠন

    নতুন গতি, দক্ষিন দিনাজপুর: পুজোর আনন্দকে ভাগ করে নিতে ‘জিও-গাইডেন্স’ নামে একটি সমাজসেবী শিক্ষা সংগঠন পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মহিপালের ‘নীলকণ্ঠ’ অনাথ আশ্রম ও বুনিয়াদপুরের ‘বরাইল উপজাতি কল্যাণ সংঘ’ আশ্রমে। বাচ্চাদের নতুন পোশাক ও শীত বস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি খাতা, কলম, রংপেন্সিল সহ আরো কিছু শিখন সামগ্রী তুলে দেওয়া।
    সংস্থার সদস্যরা সারাদিন ধরে আশ্রমের বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি ও নাচ-গান করে তাদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
    ‘নীলকণ্ঠ’ আশ্রমের পরিচালক রণজিৎ কুমার দত্ত (বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক) দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সমাজের পিছিয়ে পড়া ও অনাথ বাচ্চাদের নিয়ে সন্তান স্নেহে মানুষ করে চলেছেন। তিনি জিও-গাইডেন্সের এই উদ্যোগে আপ্লুত। বরাইল আশ্রমের পরিচালক সুকুমার বাবু জানান, ১৯৭৫ সালে মূলত পিছিয়ে পড়া আদিবাসী বাচ্চাদের নিয়ে তৈরি এই আশ্রমের অবস্থা অত্যন্ত করুন। ছাত্র/ছাত্রীরা মাটির উপরে ঘুমোয়, শীতকালে যা খুবই কষ্টকর। তিনি সরকারি সাহায্যের আবেদন করেও সাড়া পাননি। জিও-গাইডেন্স তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। সংস্থার কর্ণধার জহিরুউদ্দিন আহমেদ জানান, মূলত ভূগোল পড়ুয়া কিছু ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে আমাদের এই উদ্যোগ শুরু হলেও পরবর্তীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ আমাদের উদ্যোগে সামিল হয়েছেন।
    তিনি আরো জানান যে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের আশ্রম দুটির অবস্থা অত্যন্ত করুন। মাটির ঘর মেরামত এবং লাইট, ফ্যান, চৌকি ও রান্না ঘরে গ্যাসের কানেকশন প্রয়োজন। সরকার এবং বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও সংগঠনের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন, জিল্লুর রহমান, অর্পন বসাক, দিবাকর সর্দার প্রমুখ।