অন্ধ্রপ্রদেশের হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত কলকাতার কিশোরী

নিজস্ব সংবাদদাতা : আবারও হস্টেলের পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যু। অন্ধ্রপ্রদেশের হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত কলকাতার কিশোরী। খুনের অভিযোগে সরব তাঁর পরিবার। পরিবারের দাবি, চারতলা হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মারা যায় ওই কিশোরী। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে হস্টেল কর্তৃপক্ষ।

     

    মৃত তরুণীর পরিবারের দাবি, ছোট্ট সদস্যের মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসুক, চাইছেন সবাই। জানা গিয়েছে ওই কিশোরী গত বছর কলকাতার নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করে। পেয়েছিল ৯০ শতাংশ নম্বর। স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। তাই ডাক্তারি পড়ার প্রস্তুতি নিতেই অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজ্যাকে যায় সে। ২০২২ সালে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ভাইজ্যাগের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। থাকতে শুরু করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হস্টেলে।

     

    হস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই রাতে হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে যায় সে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

     

    কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ১৬ জুলাই দুপুরে মারা যায় ওই কিশোরী। হস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, আত্মহত্যা করেছে সে। যদিও তা মানতে নারাজ তার পরিবার। তাঁরা খুনের অভিযোগে সরব।

    নেতাজিনগরের সাহা পরিবারের দাবি, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁদের বাড়ির ছোট মেয়েকে। তাঁদের নিশানায় হস্টেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আরও অভিযোগ, অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ এবং প্রশাসন কেউই সহযোগিতা করেনি। সুবিচারের আশায় গত ৮ অগাস্ট অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোতেও তুখোড় ছিল ওই কিশোরী।জাতীয় স্তরের ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিল। এছাড়াও জিমন্যাস্টিকেও পারদর্শী ছিল সে। সাহা পরিবার বলছে, “আমার মেয়েকে ফেরত পাব না ঠিকই, কিন্তু তার মৃত্যু রহস্যের উৎঘাটন হোক। বিচার চাই।”