পুজো নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতার পুজো মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। সেকারণে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তিলোত্তমাকে। ইতিমধ্যে কলকাতার একাধিক বড় পুজো মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চতুর্থী থেকে সেই নজরদারি আরও সুদৃঢ় হবে। ওইদিন কলকাতায় থাকবে চার হাজার পুলিশকর্মী।

    অন্যদিকে পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত ৮ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। তার মধ্যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করবেন ৬ হাজার পুলিশ। পুরো নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১৬ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার, এবং তাঁদের সঙ্গে থাকবেন ৮২ জন অ্য়াসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। ১৬টি কুইক রেসপন্স টিম এবং ৩০ টি অ্য়াম্বুল্যান্স শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা থাকবে। এচাড়াও নজরদারির জন্য ৫১টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে।

     

    শ্রীভূমি সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি বড় পুজো উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। ফলে সেখানে ইতিমধ্যে উপচে পড়া ভিড়। VIP সহ একাধিক রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন। বিগত কয়েকদিনে তা সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

     

    চতুর্থী থেকে শহরের রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ নামানো হচ্ছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থীতে শহরে অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হলেও পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত তাঁদের সংখ্যা থাকবে দ্বিগুণ। ওই পাঁচ দিন শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় থাকবেন আট হাজার পুলিশকর্মী। এ ছাড়া, ট্র্যাফিক পুলিশের কয়েক হাজার অতিরিক্ত কর্মীও রাস্তায় মোতায়েন থাকবেন বলে লালবাজার জানিয়েছে। সব মিলিয়ে পুজোর কদিন শহরের রাস্তায় পুলিশকর্মীর মোট সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    পাশাপাশি, শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৮ জন উপ-নগরপাল পদমর্যাদার পুলিশকর্তা থাকবেন। থাকবেন ৮২ জন সহকারী নগরপাল পদমর্যাদার আধিকারিকও। এ ছাড়া ২০০ জন ইনস্পেক্টরও রাস্তায় থাকবেন পুজোর কদিন। থাকছে ৩০টি অ্যাম্বুল্যান্স, ১৬টি কুইক রেসপন্স টিমও। গঙ্গার ঘাটগুলিতে থাকছে অতিরিক্ত বন্দোবস্ত।যেখানে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় উত্তর থেকে দক্ষিণ এর ঠাকুর দেখার সম্ভব কীভাবে হবে? কোন পথ দিয়ে গেলে মেট্রো রেল কোন পথ দিয়ে গেলে উড়ালপুল কোন পথ দিয়ে গেলে বাসের সুবিধা মানুষ পাবেন তার বিস্তারিত এই গাইড ম্যাপে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই ম্যাচ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।