|
---|
আলম সেখ, নতুন গতি : মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কে রোখার জন্য দেশ ব্যাপী দীর্ঘ দুই মাস থেকে লকডাউন চলছে যার কারণে কর্মহীন হয়েছেন বিভিন্ন পেসার মানুষ ফলে আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে কর্মহীন মানুষেরা। যদিও সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের মাসিক বেতন সঠিক ভাবে পেয়ে যাচ্ছেন কিন্তু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকার ভুগছে আর্থিক সঙ্কটে, তারা না পারছে না কোথাও ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে না পারছে কোনো সঞ্চয় থেকে ভেঙে দিন চালাতে বরণ কারো কারো তো শেষ সম্বল টুকু শেষ হতে চলেছে, দিনের পর দিন তাদের দৈনন্দিন সঙ্কট ও অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে। সমস্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অভিভাবক রাও বেতন দিতে পারছে না। এমন অবস্থায় তাদের ইনকাম নেই কিন্তু খরচ আছে তাই সেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকার মাসিক ভাতা ও আর্থিক সাহায্যের জন্য সাংবাদিক বৈঠক করলেন ইউনাইটেড পাবলিক স্কুল আসসিয়েসন ( UPSA)
গতকাল মুর্শিদাবাদ জেলার ধূলিয়ানের ওল্ড ডাকবংলায় সাংবাদিক সম্মেলনে করেন UPSA, গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড পাবলিক স্কুল আসসিয়েসন ( UPSA) এর সম্পাদক এজাজ আহমেদ।
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে ইউনাডেড পাবলিক স্কুল এসোসিয়েশন সম্পাদক এজাজ আহমেদ জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে আমাদের রাজ্য সরকার ১৫ই মার্চ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করে। ফলে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন ১৫ই এই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হলেও ধাপে ধাপে তা বেড়েই চলেছে, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আমার কেও জানিনা । লকডাউনের জন্য ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকগন মাসিক ফি দিতেও পারছেন না, যার ফলে স্কুল মালিক গুলো শিক্ষক-শিক্ষিকাগন ও অশিক্ষক কর্মীদের বেতন দিতে পারছেন না।শিক্ষকগন করুন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করছে । ফলে তাদের জীবনের আর্থিক সঙ্কট ও অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে। এখন তাদের কোনো উপার্জন নেই,কিন্তু যথাযথ খরচ আছে। তাদের মধ্যে কেউ না পারছেন কোথাও হাত পাততে না পারছেন কোন জমিয়ে রাখা সম্পদ ভাঙিয়ে খেতে। এমনকি অনেকের শেষ সম্ভলটুকুও হারাতে বসেছে।
এই পরিস্থিতিতে ইউনাডেড পাবলিক স্কুল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ছোট খাটো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের করুন অবস্থা নিয়ে আর্থিক অনুদানের জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আবেদন জানান ।কারন ভয়ঙ্কর সঙ্কটে রয়েছে রাজ্যের কয়েক লক্ষ গৃহ শিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ । সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যাতে এই সমস্ত টিচারদের মাসিক ভাতা ৫০০০ টাকা করা হয় ।
এছাড়াও এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মতিউর রহমান, মোঃ আনিকুল মিঞা, আজমেরুল সেখ, আনুয়ার হোসেন প্রমুখ।