গোষ্ঠিকন্দল মেটাতে ময়দানে মমতা, ঘোষণা একাধিক কর্মসূচির

দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: আর বেশি সময় নেই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Polls), কিন্তু তার আগেই গোষ্ঠিকন্দলে (Internal Conflict) জেরবার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। লাগাতার এই ধরনের খবর প্রকাশ্যে আশায় চাপে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে দেশের বড় নির্বাচনের আগে, সমস্যার সমাধান করতে ময়দানে নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘মেগা বৈঠক’এ সকল বঞ্চিতদের কাছে টানলেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, দলে সবার আলাদা আলাদা দায়িত্ব রয়েছে, তাই কারোর নিজেকে বঞ্চিত মনে করার প্রয়োজন নেই।

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় এক বৈঠকের। এদিন একাধিক ইস্যু নিয়ে সরব হন তিনি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, গৈরিকীকরনের পাশাপাশি গোষ্ঠিকন্দল নিয়েও মুখ খুললেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাইকে আরো বেশি সজাগ থাকতে হবে। আমি কি বললাম, অভিষেক (Abhishek Banerjee) কি বলল, ববি (Firhad Hakim) কি বলল, তারপরেই করতে হবে এমন কোনো মানে নেই। অনেকে দলে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। তাতে বাকিরা কি হারিয়ে গেছেন? না, তাদেরও এখনো অনেক দায়িত্ব রয়েছে। দলে সকলেরই কিছু না কিছু দায়িত্ব আছে।”

    এছাড়াও এদিন সকলের জন্য দলের দরজা খুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, “অন্য দলের ভালো মানুষেরা যদি আমাদের দলে যোগদান করতে চায়, তাদের অবশ্যই নেওয়া হবে। কিন্তু তার আগে অনুভূতি নিতে হবে সুব্রত বক্সীর (Subrata Bakshi)।” মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক থেকে একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন, যেমন ‘১০০ দিনের টাকা দাও, নয় বাংলা থেকে বিদায় নাও’, ২৮-৩০ নভেম্বর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে দুঘণ্টা করে ধরনা, ২ এবং ৩ ডিসেম্বর বুথে বুথে ছাত্র-যুব-তপশিলি-রাজবংশী সবাই মিলে একসঙ্গে বুথে বুথে মিছিল, ইত্যাদি। তিনি জানিয়েছেন, “ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে আমি দিল্লি (Delhi) যাব। সব সাংসদকে (MP) সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সময় চাইব। সময় দিলে ভালো। না হলে পথে নামবো। যদি আমাদের পেটায় পেটাবে। অনেক মার খেয়েছি সিপিএমের (CPM) কাছে। ওটা আমাদের শক্তি বাড়ায়।”