মানবিক উন্নয়নে পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : মানবিক উন্নয়নে পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  মানবিক উন্নয়নে সমগ্র পৃথিবীর নিরিখে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গই পথ দেখাচ্ছে। ২৪ জানুয়ারি বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেন। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের এদিন প্রশাসনিক বৈঠক হল। প্রশাসনিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ও বলেন : ভারত তো বটেই সমগ্র পৃথিবীকে পশ্চিমবঙ্গের কন্যাশ্রী প্রকল্প একমাত্র মুখ হয়েছে। এ রাজ্যের এখন কন্যাশ্রী ৮৫ লক্ষ। বিশ্বের আবোর্ তাবর দেশগুলিও এই কন্যাশ্রী প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার কথা ভাবছে। সমাজে নারী ও পুরুষ উভয়ের সমান অধিকার হলেও বিশেষ করে মায়েদের বা মহিলাদের বা কন্যাশ্রী দের প্রাধান্য দিতেই হয়। বিরোধীরা পশ্চিমবঙ্গে বিরুদ্ধে লাগাতর কুৎসা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। সমস্ত কিছু কুচ্ছাকে উন্নয়ন চাপা দিয়ে চলেছে। অনেক প্রকল্প দেশের মধ্যে আবার প্রথমও হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ও জানান, রাজ্যে ২ কোটি মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পান। ১০ ১.২৯ লক্ষ কৃষক বন্ধু। সবুজ সাথী সাইকেল পায় ১ কটি ২৮ লক্ষ। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের পরিষেবা পান ৮ কোটি ৫১ লক্ষ। শিক্ষাশ্রী ১ ১৭ লক্ষ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ৪৯১ টি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ২৪ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। কাজের প্রয়োজনে বাইরের রাজ্যে গিয়ে অনেকে চরম অসুবিধা ও বিপদের সম্মুখীন হলে রাজ্য সরকারের এই বোর্ড তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সব রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন। মা মাটি মানুষের সরকারের উন্নয়ন সকলের নজর কেড়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন। পূর্বে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে চাল নিতে গিয়ে সেই চাল আধভাঙ্গা পাওয়া যেত। এখন সরাসরি চাষীদের কাছ থেকে বিনা পয়সায় চাল দিতে গিয়ে দশ হাজার কোটি টাকার চাল কিনতে হয়। বর্ধমানে এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা রওনা দেওয়ার বর্ধমান শহর থেকে বেরিয়ে জি টি রোডে উঠতে গিয়ে এক্সিডেন্টের মুখোমুখি হন। পিছন দিক থেকে একটি গাড়ি এসে দ্রুতগতিতে বেরিয়ে যেতে গিয়ে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী কনভয় টি ও চলে আসে। মুখ্যমন্ত্রী একজন হাই প্রোফাইল তাঁর যাত্রা সময় হঠাৎ করে এইভাবে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ায় মুখ্যমন্ত্রী অল্প চট পান, আহত হন। এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েও মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সাক্ষাৎ করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, যে গাড়িটি র সঙ্গে তাঁর কনভয় টির বিপত্তি ঘটে তাতে তিনি হতাচকিত হয়ে যান। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্তে নেমেছেন। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে যে সমস্ত মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, মলয় ঘটক, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।