|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন তরুণ ও যৌবনের কবি। বারাসাতের নজরুল চর্চা কেন্দ্র তাই প্রতিবছর সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন ও কাজী নজরুল ইসলাম জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তরুণ কবিদের সম্মাননা জ্ঞাপন করে থাকে। এ বছর মৌলালীর যুব কেন্দ্রের বিবেকানন্দ অডিটোরিয়ামে অন্যান্য গুণীজনদের সঙ্গে তরুণ কবি, প্রাবন্ধিক, উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদকে তরুণ প্রতিভাবান কবি সম্মাননায় ভূষিত করে। আহমেদ হাসান ইমরান, ইমদাদুল হক নূর, পদ্মশ্রী ডাঃ অরুণোদয় মণ্ডল, বিধায়ক রহিমা মণ্ডলের উপস্থিতিতে নজরুল গবেষক দেবশ্রী ঘোষ বিশ্বাস, আয়ুব আলি, কৃষ্ণনগরের সুজন বাসর সংস্থাকে নজরুল চর্চা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ‘নজরল স্মারক সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে ইমদাদুল হক নূর বলেন ‘যে গুরুত্ব দিয়ে নজরুল চর্চার প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। তবে সম্প্রতি নজরুল চর্চায় উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত আশার কথা।’ বিধায়ক রহিমা মণ্ডল জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উৎসাহে পশ্চিমবঙ্গে মনীষীদের মে সম্মান দেওয়া হচ্ছে তারই অঙ্গ হিসেবে নজরুল চর্চা কেন্দ্রের এই নজরুল স্মরণ।’ পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ হাসান ইমরান নজরুল চর্চা কেন্দ্রের এই উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করে দুই বাংলায় নজরুল চর্চার প্রসঙ্গ আলোচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাহিত্য-সংগঠক ছিদ্দিকুর রহমান, নাসরিন ইসলাম, আমেরিকার মমতাজ খান প্রমুখ। সংস্থার সভাপতি শেখ কামাল উদ্দীন জানান, এদিনের অনুষ্ঠানে গীতিকার নজরুল, সাংবাদিক নজরুল, অনুবাদক নজরুল, নজরুলের গোপন কথা, কথাসাহিত্যিক নজরুল নামে মোট পাঁচটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। এই অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য নজরুল চর্চার জন্য নজরুল সম্মাননা প্রদান করা হয় তরুণ কবি ফারুক আহমেদ, নজরুল গবেষক দেবশ্রী ঘোষ বিশ্বাস, সাংবাদিক আয়ুব আলি, বাংলাদেশের সাহিত্য- সংগঠক সিদ্দিকুর রহমান, কবি ও সাহিত্যিক নাসরীন ইসলাম এবং আমেরিকার মমতাজ খানকে। এছাড়া নজরুল চর্চায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য নদীয়ার গ্ৰেস কটেজের সুজন বাসর সংস্থার সম্পাদক ইনাস উদ্দীনের হাতেও নজরুল স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়। নজরুলের কবিতা আবৃত্তি, নজরুলসংগীত এবং নৃত্য প্রতিযোগিতার সফলদের হাতেও এদিন পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিধায়ক রহিমা মন্ডল, পদ্মশ্রী ডাক্তার অরুণোদয় মন্ডল, নাট্যব্যক্তিত্ব দেবাশীষ মজুমদার সহ সংগঠনের সদস্যরা। পূর্ণ অডিটোরিয়ামে এরপর প্রতিযোগিতার প্রথম স্থান অধিকারীরা নৃত্য, সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের সূচনায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ও নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সদস্যারা সঙ্গীত ও নৃত্যাঙ্গন ডান্স একাদেমীর ছাত্রীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঞ্চকে সদ্যপ্রয়াত কল্যাণী কাজীর নামে নামকরণ করা হয়। বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিনূর বিশ্বাস, সুকান্ত মজুমদার, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, স্বপন ভট্টাচার্য প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন শেখ কামাল উদ্দীন। সভাটি সঞ্চালনা করেন নিরুপম আচার্য ও সৈকত মন্ডল। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংস্থার সম্পাদক শাহজাহান মন্ডল। জাতীয় সংগীতের পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।