শিলিগুড়িতে চাপ সামলানোর জন্য কলকাতা থেকে তড়িঘড়ি করে ডেকে পাঠানো হল জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষকে

শিলিগুড়ি: তড়িঘড়ি করে কলকাতা ডেকে পাঠানো হল জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষকে,আর এতেই শিলিগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের একটাই ধারনা আজই কলকাতা থেকে ঘোষনা করা হবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম।বিশেষ করে গতকাল বিজেপী নিজেদের প্রার্থীতালিকা ঘোষনা করে দেবার পরে আর হয়ত দেরী করতে চাইবে না তৃণমূল।কারন তিন সপ্তাহের কম সময় হাতে এই ঠাণ্ডার মধ্যে কিভাবে এত কাজ করা যাবে সেটা নিয়েও কথা উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।তবে ঘোষনা হয়ে যাবার পরে আর মতপার্থক্য থাকবে না বলে মনে করছেন দার্জিলিং জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব।আজ বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে তৃণমূলের সব সমর্থকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।কে কোন ওয়ার্ড থেকে দাড়াবেন এখনো না জানা গেলেও কিছু রদবদল হবে আশা করা যায়,সেক্ষেত্রে বিক্ষুদ্বদের কিভাবে সামলানো যাবে সেটাও চিন্তা করে দেখছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।আজ সকালে কিংবা দুপুরে তপসিয়া ভবন থেকেই ঘোষনা করা হবে তৃণমূলের প্রার্থীদের নাম। নিশ্চিতভাবে টিকিট পাচ্ছেন শিলিগুড়ির 13,14এবং তিরিশ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার।গৌতম দেব এবং রঞ্জন সরকারের ওয়ার্ড অদলবদল হওয়ায় তারা কোন ওয়ার্ড থেকে দাড়াবেন সেটা বোঝা যাবে প্রার্থীপদ ঘোষনার পরেই।তাই শিলিগুড়ি আজ দুপুর থেকে অপেক্ষায় থাকবেন তাদের ওয়ার্ডের রক্ষাকর্তা আগামীদিনে কে থাকবেন।

    গত দুদিন থেকে চরম টেনশনে আছেন শিলিগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকেরা।হাতে আর বেশী সময় নেই তাই শিলিগুড়িতে কিভাবে কাজ করতে হবে এটাও ভাবছেন তারা।তবে এবারে শিলিগুড়ি তৃণমূলের দখলেই থাকবে যদি কোন অঘটন না ঘটে।এবার যদি শিলিগুড়ি পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে না আসে তবে তাদের পায়ের নীচে যে আর কোন জমি থাকবে না এটাও ভালোভাবে জানেন দার্জিলিং জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।তাই হিসাব করে চলতে চাইছেন তারা যাতে ফল বের হবার পরে কোন রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।