|
---|
শরিফুল ইসলাম , নতুন গতি ডেস্ক:
স্মৃতি সতত সুখের নয়। কাছের মানুষের মৃত্যুর হলে তো আরো বেদনার,যন্ত্রণার। তবু সব হারিয়ে সেটুকুই সান্তনার!
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা নৃশংস জঙ্গি হানায় উপত্যকার মাটিতে শহীদদের রক্তের দাগ এখনও ভালো করে মোছে নি। মর্মান্তিক সেই ঘটনার দিন সাতেকের মাথায় প্রকাশিত হলো প্রাক জঙ্গি হানার পূর্বে তোলা শুকজিন্দর সিংহের ছবি।
সেদিন সি.আর.পি.এফ-এর সেভেন্টি সিক্স ব্যাটালিয়ন ফোর্স সমেত কনভয় কাশ্মীর থেকে ‘শ্রীনগর-জম্মু’ ন্যাশনাল হাই ওয়ে ধরে যাচ্ছিল। দিনের বেলায় বরফের হালকা কুয়াশায় চাঁদরে ঢাকা চারিপাশ। জওয়ানরা সকলেই তখন গাড়ির ভিতরে। কয়েক সেকেন্ড আগেও কেউ জানে না কি সাংঘাতিক এক অন্ধকার তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। গাড়ির ভিতরে যে যার মতন ব্যস্ত। কেউ ঘুমাচ্ছেন, কেউ অল্প ঘুমাচ্ছন্ন। কেউ কথা বলছেন পাশের সঙ্গীর সাথে। পুলওয়ামায় ঠিক সেই সময় অতর্কিতে একটি আত্মঘাতি জঙ্গি স্কর্পিও করে সাড়ে তিন টন আর ডি এক্স নিয়ে তীব্র বেগে জওয়ান দের কনভয়ে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায়। চুয়াল্লিশ জন জওয়ান শহীদ হন। আহত অসংখ। ভয়াবহ জঙ্গী হানার কয়েক সেকেন্ড আগেই শুকজিন্দর ছবিটি তাঁর স্ত্রীর কাছে পাঠান।
নৃশংস জঙ্গী হানায় ৪৪ জন শহীদের নামের তালিকায় সতেরো তম নাম টি শুকজিন্দর সিংহের।
পঞ্জাবের বাসিন্দা শুকজিন্দর সিং ২০০৩ সালে উনিশ বছর বয়সে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাধারণ জওয়ান হিসাবে কাজে যোগ দেন। হেড কনস্টেবল হয়ে ছিলেন একবছরও হয়নি। পরিবার বলতে বাড়িতে মা-বাবা, স্ত্রী ও একটি শিশুসন্তান।
অভিশপ্ত স্কর্পিও জঙ্গি হামলার আগে শুকজিন্দর তাঁদের গাড়ি ও নিজের ছবিটি মোবাইলে পাঠান। এটিই সম্ভব শহীদ শুকজিন্দর সিংহ-এর স্ত্রীকে পাঠানো শেষ ছবি।